সেবন্তী ভট্টাচার্য্য
প্রতিঘণ্টায় ১.৬ মিলিয়ন গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়। সোমবার এই ঝড় পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়বে বলে স্পেসওয়েদার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে। সূর্যের বায়ুমণ্ডল থেকে এই ঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে বলে খবর। পৃথিবীতে এই ঝড় এসে পড়লে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। রেডিও সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হতে পারে। পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে অনেকটাই। বিপুল অংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বিদ্যুত্ যোগাযোগ ব্যবস্থা। গত ৩ জুলাই জানা গেছে যে, সূর্যের যে বলয় রয়েছে, তাতে একটি ফাঁকা জায়গার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সেখান দিয়ে ‘সোলার ফ্লেয়ার’ ধেয়ে আসতে পারে। যার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ কিলোমিটার। স্পেস ওয়েদার ডট কম -এর এই তথ্য জানাচ্ছে এই ফ্লেয়ারের হাত ধরে বড়সড় ধ্বংসের পথে যেতে পারে অনেক বস্তুই। প্রসঙ্গত, সানফ্লেয়ার হলো একটি বিস্ফোরণ, যা কার্যত অগ্নিস্ফূলিঙ্গ নিয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায়। অনেক ক্ষেত্রে এটিকে x বা x1 দিয়ে ভূষিত করা হয়। উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও কমিউনিকেশনে এই সৌরঝড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে জনিয়েছে মার্কিন ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার। আজ যে সোলার ফ্লেয়ার পৃথিবীকে ধাক্কা দেয়ার কথা, সেই সোলার ফ্লেয়ারের নাম x। সৌরঝড়ের জেরে সমস্যা হতে পারে জিপিএস সিগন্যালিং ব্যবস্থায়। বিচ্ছিন্ন হতে পারে মোবাইল ফোন, টিভি। কোথাও কোথাও বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নেমে আসতে আরে আঁধার। উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে বসবাসকারী লোকেরা এই ঝড় কিছুটা হলেও উপভোগ করতে পারবেন। ঝড়ের কারণে আকাশে সুন্দর আলোর সজ্জা তৈরি হবে। রাতে অরোরা দেখতে পাবেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা।১৯৮৯ সালে একটি সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। এর ফলে কানাডাতে প্রায় ৯ ঘন্টা বিদ্যুত্ ছিল না।