চাঁদপুর : চাঁদপুরের আলী আহমদ প্রাধানিয়ার ছেলে মো. মোবারক হোসেন প্রধানিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে দেশে আসার পর প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে এখন সর্বশান্ত। প্রতারক চক্র তার প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরও এখন তার সম্পত্তি গ্রাসের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রবাসে থেকে ফিরে মোবারক রাজধানীর উত্তরায় বসবাস শুরু করেন। সেই সুবাদে দক্ষিণখানের প্রভাবশালী এক প্রতারক চক্রের প্রধান সামসুদ্দিন পাটোয়ারী ও তার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী কামরুল হাসান রিপন, শাহারিয়ার মো. রাসেল, সাহাদাত হোসেন সিপন ও নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুস ছাত্তার রাসেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সূত্রে কয়েক বছর আগে তাদের প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণখানের ইয়াং-টু ফ্যাশন লিমিটেডের ৩০% শেয়ার বিক্রি করে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার অঙ্গীকার করে মোবারক প্রধানিয়ার কাছ থেকে নগদ ৪৫ লাখ টাকা গ্রহণ করে।
মোবারক প্রধানিয়া দেশে এসে উত্তরা ও গাজীপুরে এগ্রোবেইজড ইন্ডাস্ট্রি করার প্রত্যাশা নিয়ে বর্তমান মূল্যে কয়েক কোটি টাকার ভূমি ক্রয় করে। প্রতারক চক্র সামসুদ্দিন গংদের দৃষ্টি মোবারকের এই জমির ওপরও পরেছে। সামসুদ্দিন গং তাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরল বিশ্বাসী মোবারকের উত্তরার রানাভোলা মৌজার ৬কাঠা জমি উত্তরা আলআরাফা ইসলামী ব্যাংকে বন্ধক রেখে আরও এক কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে তাদের দেয়। এ অবস্থায় কয়েক মাস পর ব্যাংক থেকে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা পরিশোধের চিঠি পাওয়ার পর মোবারক প্রধানিয়া তাদের সঙ্গে দেনাপাওনার প্রশ্ন উঠালেই সবাই এক বাক্যে কাগজপত্র চুক্তিনামা শেয়ার সবকিছুই অস্বীকার করে। মোবারক প্রধানিয়া তার প্রাপ্য টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে থাকা অবস্থায় গত ৩ মে রাতের অন্ধকারে গোপনে এই প্রতারক চক্র ফ্যাক্টরিতে এসে স্টোরে থাকা তৈরি পোশাক, থান কাপড়, এক্সপোর্টের প্যাকেজিং মালামাল বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে যায়।
মোবারক প্রধানিয়া কোনো উপায় না পেয়ে টাকা উদ্ধারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ায় এখন ওই প্রতারক চক্রের সবাই পালিয়ে থেকে মোবারক প্রধানিয়াকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে মোবারক প্রধানিয়া জানান। সামসুদ্দিন, কামরুল, রাসেল, ছাত্তার, রিপন গংদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে সবুজবাগ থানা, দক্ষিণখান থানা, টঙ্গি মডেল থানা সহ বেশ কয়েকটি থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, দাঙ্গাহাঙ্গামা সহ বিভিন্ন ধারায় সাধারণ ডায়েরী ও কয়েকটি মামলা রয়েছে। তালিকাভুক্ত ফেরার আসামী হওয়ার পরও তারা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভুক্তভোগী মোবারক প্রধানিয়া এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন।