চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেকদি গ্রামের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী রুবি আক্তার (৭) কে জোর পূর্বক ধর্ষন করে হত্যার করার ঘটনায় মূল দুই আসামী জুয়েল (২২)ও মিন্টু (২৫) কে ডিবি পুলিশ আটক করেছে আদালতে প্রেরন করে। গত বৃহস্পতিবার আদালত হত্যাকারিদেও জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টায় চাঁদপুর ডিবির এস.আই ইসমাইল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গাজীপুর কাপাসিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়েল কে আটক র চাঁদপুর নিয়ে আসে। ফরিদগঞ্জ থানার সেকদি গ্রামের টেলু মিজির ছেলে জুয়েল ও জহির মিয়ার ছেলে মিন্টু (২৫) গত দেড় মাস পূর্বে শিশু ছাত্রী রুবিকে আইসক্রীম ও চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে বাড়িতে নিয়ে মুখ বেধে ধর্ষণ করে। তার অজোর ধারায় রক্ত বের হলে ঘটনা ফাঁস হওয়ার আশংকায় শিশু রুবিকে লম্পটরা হত্যা করে বাস্তা বেধে পুকুরপাড়ে লাসটি নিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। একমাস পর লাসটি গলিত অবস্থায় পাওয়া গেলে কে বা কারা হত্যা করেছে তা অনুসন্ধান করতে থাকে পুলিশ। সেপ্টেম্বর ৮ তারিখ চাঁদপুরের পুলিশ সুপার সামছুন্নাহার ডিবির এস.আই ইসমাইল খন্দকারকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে হোতা মিন্টুকে লক্ষ্মীপুর জেলার হাজির হাট থেকে তাকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল ভোরে প্রধান আসামী জুয়েল কে গাজীপুর কাপাসিয়া থেকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শিশুকে ধর্ষন করে হত্যার ঘটনায় এলাকায় হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। পুলিশ সুপার শামছুন্নাহারের হস্তক্ষেপে অবশেষে মূলহোতা গাজীপুর থেকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৯ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।