শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে মাইনুদ্দিন খান (১৫) নামে এক কিশোরিকে হত্যা করে মৃতদেহ ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি সুমন খাঁনকে পুলিশ আটক করে পুলিশ জেলা কারাগারে প্রেরন করে। প্রধান আসামি সুমন জেলা কারাগারে থাকায় তার পরিবারের লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে নিহত মাইনুদ্দিন খানের মা খায়রুন নাহার(৪৫)কে পিটিয়ে আহত করেছে। গত শুক্রবার দুপুর ২ টায় লক্ষীপুর গ্রামে খাঁন বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুত্তর আহত অবস্থায় তাকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় মাইনুদ্দিন খানের বাবা মিজান খাঁন বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মৃত মাইনুদ্দিন খানের বাড়ির সামনে দিয়ে আসামি সুমনের মা শামসুরনাহার বোনের জামাই শাহাজালাল, মামা মনির খাঁন খালা কৈতোরি বেগম যাওয়ার সময় ক্ষীপ্ত হয়ে গালমন্দ করে। পরে তারা সবাই মিলে মাইনুদ্দিনের মা খায়রুন নাহারকে পিটিয়ে আহত করে। বাড়ির মানুষ এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্ভর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় লক্ষীপুর গ্রামের নূরজ্জামান খান বাড়ির পিছনের বিলে নিহত মাইনুদ্দিন খানের মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক সুমন হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়ে কাউকে কিছু বুজতে না দিয়ে তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোড়ে বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে সুমন নারায়নগঞ্জ গিয়ে তার ভাই জাহাঙ্গীরের চায়ের দোকানে কাজে চলে আসে। মাইনুদ্দিনের সন্ধান কোথাও না পেয়ে তার বড় ভাই ঢাকা থেকে নারায়নগঞ্জ এসে সুমনকে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় সুমন হত্যার ঘটনা তাদের কাছে স্বিকার করে। এদিকে হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় মাইনুদ্দিনের চাচা নজরুল খান ও বাবা মিজান খান বাড়ির পাশে ধান ক্ষেত এলোমেলো দেখতে পেয়ে মাঝখানে এসে মৃত্য মাইনুদ্দিনের লাশের সন্ধান পায়। এসময় লক্ষীপুর গ্রামের হাজার হাজার নারী পুরুষ লাশ দেখতে এসে ভীড় জমায়। খবর পেয়ে ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘাতক সুমন খানকে নারায়নগঞ্জে আটকে রাখার পর চেয়ারম্যান সেলিম খান ও চাঁদপুর মডেল থানা ওসি মামুনুর রশিদ তাৎক্ষনিক নারায়নগঞ্জের থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা ঘাতককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির নারায়নগঞ্জে গিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমনকে আটক করে চাঁদপুর নিয়ে আসে।