২০ অথবা ২২ নভেম্বর থেকে এবার সারাদেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। শিশুদের শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপ এ বোর্ড পরীক্ষায় চাঁদপুর জেলা থেকে এবার ৬০ হাজারেরও অধিক পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এ পরীক্ষার ফলাফলের উপরই প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে। বিগত বছরগুলোতে পরীক্ষার জন্য ২ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হলেও এবার ৩০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। এ দিকে এ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়লেও মাদ্রাসার তথা ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতি বছর কমছে। এ কমার পেছনে অবশ্য সংশ্লিষ্টরা নানা কারণ দেখিয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, এ বছর চাঁদপুর জেলায় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীৰার্থী হচ্ছে ৬০ হাজার ৪শ’ ৭৫ জন। যা গত বছর ছিলো ৬০ হাজার ৪শ’ ৯০ জন। এ বছর স্কুলের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছু বাড়লেও কমেছে মাদ্রাসার পরীৰার্থীর সংখ্যা। এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীৰার্থী হচ্ছে ৫২ হাজার ৯শ’ ৮১ জন, যা গত বছর ছিলো ৫২ হাজার ৭শ’ ২৪ জন। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিলো ৪৬ হাজার ৮শ’ ৬৪ জন, ২০১০ সালে ছিলো ৪৩ হাজার ৮৯ জন। আর এ বছর ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীৰার্থী হচ্ছে ৭ হাজার ৪শ’ ৯৪ জন, যা গত বছর ছিলো ৭ হাজার ৭শ’ ৬৬ জন। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিলো ৭ হাজার ৯শ’ ২৮ জন এবং ২০১০ সালে ছিলো ৮ হাজার ৫শ’ ৪২ জন। এ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি বছর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।
এর কারণ জানার জন্য যোগাযোগ করা হয় মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ড. একেএম মাহবুবুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, গত ২ বছর যাবৎ মাদ্রাসার প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী পর্যায়ে কোনো উপবৃত্তি দেয়া হয় না, দুপুরে টিফিনের ব্যবস্থাও নেই। এসব কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। তবে এ বছর থেকে ইবতেদায়ী বৃত্তি চালু করার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উপজেলা ভিত্তিক পরীক্ষার্থী সংখ্যা হচ্ছেঃ চাঁদপুর সদরঃ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থী ৯ হাজার ৮শ’ ৫৫ জন ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীৰার্থী ১ হাজার ২শ’ ৪৩ জন।
কচুয়াঃ প্রাথমিক সমাপনী ৮ হাজার ২শ’ ৩১ জন, ইবতেদায়ী সমাপনী ১ হাজার ৪শ’ ৯৬ জন।
হাজীগঞ্জঃ প্রাথমিক সমাপনী ৭ হাজার ৩শ’ ৫৬ জন, ইবতেদায়ী সমাপনী ১ হাজার ৫১ জন।
হাইমচরঃ প্রাথমিক সমাপনী ২ হাজার ২শ’ ৭৪ জন, ইবতেদায়ী সমাপনী ৩শ’ ২ জন।
শাহরাস্তিঃ প্রাথমিক সমাপনী ৫ হাজার ৬৩ জন, ইবতেদায়ী সমাপনী ৭শ’ ১৭ জন।
ফরিদগঞ্জঃ প্রাথমিক সমাপনী ৮ হাজার ৭শ’ ৯৮ জন, ইবতেদায়ী সমাপনী ১ হাজার ৬শ’ ৩৯ জন।
মতলব দক্ষিণঃ প্রাথমিক সমাপনী ৪ হাজার ৫শ’ ৫২ জন, ইবতেদায়ী সমাপনী ৬শ’ ৬১ জন।
মতলব উত্তরঃ প্রাথমিক সমাপনী ৬ হাজার ৮শ’ ৫২ জন ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার্থী ৩শ’ ৮৫ জন।