মনিরুল ইসলাম মনির:
মতলব উত্তরে ভুট্টার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ফড়িয়া আর মজুদদাররা। তাদের খেয়াল-খুশিমতো ওঠা-নামা করছে ভুট্টার বাজার। আশানুরূপ দাম না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছে উপজেলার ভুট্টা চাষিরা। বর্তমানে হাটবাজারে যে দামে ভুট্টা বেচাকেনা হচ্ছে তাতে করে চাষিদের উৎপাদন খরচও ওঠছে না। বর্তমানে কাঁচা ৪শ’ টাকা এবং শুকনা ভুট্টা ৫শ’ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।
উপজেলার পালালোকদি গ্রামের ভুট্টা চাষি সজিব, মানিক, নাউরী গ্রামের জয়নাল, মোস্তফা ও পাঁচআনি গ্রামের সিরাজ বলেন, বিগত বছরগুলোতে ভুট্টার চাহিদা ও দাম আশানুরূপ পাওয়ায় আগের চেয়ে বেশি জমিতে চাষ করা হয়। আশা ছিল এ বছরও আশানুরূপ দাম পাওয়া যাবে। কিন্তু ভুট্টা বাজারে ওঠানোর পর ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। যে দুই-একজন ক্রেতা মিলছে তারাও আবার তাদের মতো করে দাম হাঁকছেন। ঐ দামে ভুট্টা বিক্রি করলে কৃষকের উৎপাদন খরচও ওঠবে না। এ কারণে উৎপাদিত ভুট্টা নিয়ে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে চাষিরা। তবে ধান ও গমের মতো ভুট্টাও সরকার ক্রয় এবং মূল্য নির্ধারণ করে দিলে হয়তো বা ভুট্টার বাজার এতো নিচে নামতো না বলে মনে করেন কৃষক। বাজার এই অবস্থায় থাকলেও ভুট্টার ন্যায্যমূল্যের দাবিতে চাষিরা উৎপাদিত ফসল নিয়ে বিপাকে পড়বে।
স্থানীয় ভুট্টা ক্রেতা মোবারক, আবুল হোসেন, মকবুল বলেন, সিপি বাংলাদেশ ঘোড়াঘাট, পদ্মা ফিড জয়পুরহাট ও ওয়ান ফিড মাওনা ঢাকা নামের প্রতিষ্ঠান কিছু কিছু করে ভুট্টা কিনছে। তবে সর্ববৃহৎ ভুট্টা ক্রেতা কাজি ফার্ম এখন পর্যন্ত ভুট্টা ক্রয় শুরু না করায় ভুট্টার দাম বাড়ছে না। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরও তেমনভাবে জোরেশোরে ভুট্টা কিনতে পারছেন না। ফলে ভুট্টার বাজার ওঠছে না। বর্তমানে কাচা ভুট্টা এলাকা ভেদে ৪শ’ থেকে ৪শ’ ৫০ টাকা এবং শুকনা ভুট্টা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা মণ দরে বেচাকেনা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ূম মজুমদার বলেন, সরকারিভাবে ভুট্টা ক্রয় না করার কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ফিড কোম্পানিসহ স্থানীয় ফড়িয়া ও মজুদদাররা। এতে করে চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ কারণে সরকারিভাবে ভুট্টার দাম নির্ধারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।