প্রতিনিধি
মঙ্গলবার গভীর রাতে ফরিদগঞ্জের কালির বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ২ কোটি টাকার সম্পদহানি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন কালির বাজারে ভিড় করে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, রাত ১টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় কালির বাজারের জনৈক বাবুলের কাপড়ের দোকান থেকে। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে জুয়েলারী, মুদি, ভ্যারাইটিজ, গার্মেন্টস ও কসমটিকসের প্রায় ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল ভস্মীভূত করে ফেলে। সংবাদ পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এলেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, গত তিন বছরে ৪ বার এ বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার মালামাল উঠায়। কিন্তু আগুনে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো : কিশোরের সেলুনের প্রায় ২ লাখ টাকা, নুরুল ইসলামের পানের দোকানের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, শান্তির মুদি দোকানের প্রায় ৪ লাখ টাকা, ফয়সল বেকারীর প্রায় ৪ লাখ টাকা, বলরামের স্বর্ণের দোকানের প্রায় ৫ লাখ টাকা, হোসেনের হোটেলের প্রায় ২ লাখ টাকা, জননী কনফেকশনারীর প্রায় ৯ লাখ টাকা, মোল্লা স্টোরের প্রায় ৮ লাখ টাকা, মোশারেফের লাইব্রেরীর প্রায় ৪ লাখ টাকা, আলী স্টোরের ৫ লাখ টাকা, বাবুল স্টোরের ১৫ লাখ টাকা, মাস্টার টেইলার্সের ৫ লাখ টাকা, স্বপন গার্মেন্টেসের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা, নুরুল ইসলামের মুদি দোকানের ১২ লাখ টাকা, তাপস গার্মেন্টেসের সাড়ে ৭ লাখ টাকা, হারুন মাইক সার্ভিসের ৬ লাখ টাকা, বিকাশ স্বর্ণকারের প্রায় ১২ লাখ টাকা, মহসীন পাটওয়ারীর কাপড় দোকানের ১১ লাখ টাকা, খোকন ভ্যারাইটিজ স্টোরের ৮ লাখ টাকা এবং নুহা গার্মেন্টেসের প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া এ ২০টি দোকানের মালিক পথে বসার উপক্রম হয়েছে।