রিফাত কান্তি সেনঃ-
এক একটি গর্ত জেনো এক একটি মাছের খামারের মত।ফরিদগঞ্জের বেশীরভাগ রাস্তার দশা ই জেনো ভয়াল।চাঁন্দ্রা- গাজীপুর,ভোটাল,আষ্টা রাস্তা জেনো আরো ভয়াল।
ফরিদগঞ্জের উল্লেখ যোগ্য রাস্তাগুলোর মধ্যে চাঁন্দ্রা, গাজীপুর,পাইকপাড়া,ভোটাল, আষ্টা রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ।কেনো না ফরিদগঞ্জ উপজেলার একটা বিশাল অংশের জনগন এই এলাকাগুলোতে বসবাস করে।কিন্তু এসব গুরুত্বপূর্ন রাস্তাগুলো জেনো এক রকম মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।শুধু তা ই নয় এসব এলাকার সংযোগ সড়ক গুলোর দশা ও নাযেহাল।গত কয়েক বছর ধরে ই রাস্তাগুলোর একই দশা।গ্রাম এলাকা বলে অনেকে ই হয়তো এর খবর রাখে না।রাস্তাগুলো এতটা ই ভাঙ্গা আর গর্তে ভরা যে শীত ও বর্ষায় দুই রূপ ধারন করে রাস্তা।বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির ফলে গর্তগুলো রূপ নেয় মরন ফাঁদে।
অনেকে ই অভিযোগ করেন বর্ষায় নাকি গর্তগুলোতে মাছ চাষ করা যাবে!গর্তগুলোতে পানি জমার ফলে প্রায়ই দূর্ঘটনার স্বীকার হতো পথচারীরা।
এই দিকে শুষ্ক মৌসুমে গর্ত আর বালির ফলে ভূক্তভূগী পথচারীদের ভোগান্তীরমাত্রাটা জেনো আরেকটু বেড়ে যায়।ধুলো বালির ফলে পথচারীদের শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যায় ভূগতে হয়।প্রতিদিন ই এই রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার ও পথচারীর চলাচল।
কেউ স্কুলে, কেউ বা কলেজে আবার কেউ নিজ কর্মস্থলে পৌছাতে ও এই রুট গুলো ব্যাবহার করেন।তবে ভূক্তভূগী এলাকার জনগন, অভিযোগ! কিংবা ক্ষোভের ভাষায় ই হোক।বলেন আমাদের জেনো দেখার কেউ নেই।রাস্তা খানা- খন্দে ভরা বলে শহর থেকে অনেক গাড়ী চালক ই আসতে চাননা এসব এলাকাগুলেতে।
আর আসলে ও হাঁকান অনাকাঙ্ক্ষিত ভাড়া।দুই টাকার ভাড়া দশ টাকা! রাস্তা গুলোর এতটা ই দূরঅবস্থা যে, অনেক সময় কোন অসুস্থ ব্যাক্তিকে
হাসপাতালে নিতে চড়ম ভোগান্তীতে পরতে হয়। এছাড়া কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে এ্যাম্বোলেন্স যে সঠিক সময় পৌছাবে সেটার ও
নিশ্চয়তা নেই ভাঙ্গা রাস্তার ফলে।এমন কি যদি এলাকার কোন যায়গা আগুন লাগে, তবে ততক্ষনাত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌছানোটা ও চিন্তার বিষয়। গ্রামবাসী ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভাঙ্গা রাস্তা এলাকার উন্নয়নের অন্তরায়!
রাস্তাঘাট ভাঙ্গা,খানা- খন্দে ভরা বলে ব্যবসায়ে লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের।গাড়ী চালকদের ও একই অভিযোগ,প্রায়ই ভাঙ্গা- চুরা রাস্তার জন্য গাড়ী গুলো
বিকল হয়ে যায়। গাড়ী চালকরা জানান, গাড়ীর চেসিজ আটকে যায় গর্তগুলোতে।অনেক সময় গর্তের মধ্যে গাড়ি উলটে দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে যাত্রী সাধারন।
লোকসান গুনতে হয় গাড়ি ব্যবসায়ীদের ও।এদিকে ছোট – বড় সড়ক দূর্ঘটনা প্রায়ই হয়ে থাকে এই রাস্তা গুলোতে।তবে গাজীপুর থেকে কড়ৈতলীর রাস্তাটিতে ইট ভাঙ্গতে দেখে মনে হচ্ছে কিছু দিনের মধ্যে রাস্তার সংস্কার শুরু হতে পারে! তবে কবে এলাকাবাসী এমন ভোগান্তী থেকে রক্ষা পাবে সেটা ই এখন দেখার বিষয়।
এত বছরের জনদূর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কত দ্রুত পদক্ষ্যাপ নেন সেটা ই দেখার বিষয়।এলাকাবাসী জোর দাবী জানান – এ সব রাস্তা গুলোর সংস্কার দ্রুত হলে,ঐ সমস্থ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুদৃঢ় হবে।গতিশীল হবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা।এবং তারা বিশ্বাস করেন কতৃপক্ষ তাদের এই ভোগান্তীর কথা চিন্তা করে খুব
দ্রুত এবং সঠিক ভাবে রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে আসবেন।
ছবি পাইকপাড়া টু আষ্টা রাস্তা থেকে তোলা।