মোঃ মুজাম্মেল হোসেন মল্লিক
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শালদহ-তাম্রশাষন গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এক পশলা বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় চলার অনুপযোগী হয়ে পরে। যা দেখার কেউ নেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ একটি গ্রাম। সালদহ-তাম্রশাসন গ্রামে শত শত কৃষকের পরিবার বাস করে। শুকনো মৌসুমে তাদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা এটি।
তাম্রশাসন দোয়ানি বাড়ির বাংতি থেকে ফিশা বাবুর বাড়ি পর্যন্ত দূরত্ব কমপক্ষে এক থেকে দেড় কিলোমিটার, এবং সালদহ জামিয়াতুস সুন্নাহ কমপ্লেক্স থেকে হানিফ মিরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১কিলোমিটার। এই কাচা রাস্তাটির প্রধান যানবাহন হচ্ছে ইজি বাইক ও রিকশা। এই রাস্তার বর্তমানে বেহাল অবস্থার কারণে কোনো ইজি বাইক ও রিকশা চলাচল করতে পারছে না। ফলে হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
জরুরি কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেলা শহরে বা ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে নিতে চাইলে দেড়-দুই কিলোমিটার রাস্তা হেটে আসতে হবে যা সেই রোগীর জন্য অসম্ভব। এমনকি যথাসময়ে রোগীকে হাসপাতালে নিতে না পারলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সালদহ-তাম্রশাসন গ্রামের স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যায় আর শুকনো মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে আমরা হেঁটে কিংবা ইজি বাইক, রিকশায় যাতায়াত করি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমরা বর্তমান উন্নয়ন বান্ধব সরকারের কাছে আবেদন জানাই অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন হোসেন মুঠোফোনে বলেন, রাস্তাটির অবস্থা অত্যান্ত বেহাল। ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ আসলে রাস্তাটি চলার উপযোগী করবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ হাজী বলেন, আমি বহুবার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার যতটুকু সম্ভব ছিলো আমি কনা, আধলা ইট দিয়ে কিছুটা পূর্ণ করছিলাম।