ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জের আলোচিত রুমা হত্যা মামলার প্রধান আসামী মফিজুর রহমান জামিনে বেরিয়েই একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলার সাক্ষীদের হয়রানি শুরু করেছে। পুকুরের মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার পর সর্বশেষ ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামীর বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগে মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
নিহত রুমার স্বামী জিল্লুর রহমান জানান, উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম হাঁসা গ্রামের মফিজুর রহমান মফুর সাথে তাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে চলতি বছরের গত ২০ এপ্রিল তার স্ত্রীকে অভিযুক্তরা সকাল আনুমানিক ৮.০০ টার দিকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করে। এব্যাপারে তার শশুড় হাবিব উল্যা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে(মামলা নং-২৬। তাং- ২৬/৪/২০১৬)। যা বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মফিজুর রহমানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মফিজুর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর বাড়ি আসে।
জিল্লুর রহমান জানান, মফিজুর রহমান বাড়ি এসেই তাকে প্রকাশ্যে হত্যা করে লাশ গুম এবং মামলা দিয়ে হয়রানির করার হুমকি দেয় । ফলে তিনি বাধ্য হয়ে তিনি ফরিদগঞ্জ থানায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর জিডি করেন। পরে জিডির ঘটনা সত্য পেয়ে পুলিশ ১০৭ ধারায় মফিজুর রহমান মফুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এর মধ্যেই প্রধান আসামী তাদের বিরুদ্ধে পুকুর থেকে মাছ লুটের ,মামলার বাদীকে হুমকি এবং সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামীর বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগে মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ দুটি ঘটনারই তদন্তে এসে পরিকল্পিত বলে প্রমাণ পেয়েছে। তবে মফিজুল ইসলাম (মফু) এর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। লিখিত অভিযোগের আলোকে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ভাংচুরের চিত্র তিনি দেখেছেন। তবে মফিজুর রহমান যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাদের দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলার সে প্রধান আসামী। উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ রয়েছে। ঘটনার তদন্তেই মুল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে মফিজুর রহমান মফু এর কাছ থেকে জানতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।