নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফরিদগঞ্জের দক্ষিন সাহেবগঞ্জ গ্রামে কাদির হাজী বাড়িতে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ২জন গুরুত্ব আহত হয়েছেন। এসময় নগদ টাকা ও স্বণালঙ্কার লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় মোঃ আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে রুস্তুমপুর গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ সোহাগকে প্রধান আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। ফরিদগঞ্জ থানায় ধারা ১৪৩/৪৪৮/৪২৭/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩৭৯/৩৮০/৫০৬ মামলা নং ১৭, তারিখ ৯/৮/১৪ দায়ের করে ।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুস্তুমপুর গ্রামের মোঃ সোহাগ, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মো ইব্রাহীমের নেতৃত্বে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী দল দক্ষিন সাহেবগঞ্জ গ্রামের কাদির হাজী বাড়িতে আব্দুস সাত্তারের বসত ঘরে হামলা চালায়। হামলায় সোহাগের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অব্দুস সাত্তারের বড় ছেলে শাহ আলমের মাথা ফেটে যায়। এসময় ইব্রাহীমের লোহার রডের আঘাতে শাহ আলমের শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। শাহ আলমকে বাঁচাতে তার মা জাহানারা বেগম ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা তার শ্লীলতাহানী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া সন্ত্রাসীরা মোঃ আব্দুস সাত্তারের বসতঘরের ৫টি জানালার কাচ ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি রান্না করার চুলাটিও । সব ভেঙ্গে তচনচ করে দেয় তারা। এসময় সন্ত্রাসীদল স্টিলের আলমারী ভেঙ্গে নগদ ২লক্ষ সত্তর হাজার টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ২টি মোবাইল নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত শাহআলম ফরিদগঞ্জ চতুরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসর্ম্পকে আহত শাহ আলম বলেন আমি গত ১৪ বছর সৌদি আরবে ছিলাম। সোহাগের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় আমাদের বসতঘর ভাংচুর, নগদ অর্থ ও স্বণালঙ্কার লুটপাট হয়েছে। শাহআলমের বাবা আব্দুস ছাত্তার বলেন মোঃ সোহাগ, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মো ইব্রাহীম, ফাতেমা বেগম, মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসীদল কিরিছ, লোহার রড লাঠিশোডা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবী করেন। এসর্ম্পকে মোঃ সোহাগসহ অভিযুক্তদের বক্তব্য চাওয়া হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্বভ হয়নি।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।