শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র দখলের প্রাক¦ালে ২টি মাইক্রোবাসে বিদেশী ২টি পিস্তল ১টি কাটা রাইফেল ও ৭টি ছেনি সহ ১২ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ঘটনার দিন দুপুরে ডিবির এসআই ইসমাইল খন্দকার কন্সটেবল আবুল কালাম ও রবিউল আলমকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লেও অবশেষে তারা সরকার দলীয় ১২ জনকে অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ডিবির এসআই ইসমাইল খন্দকার বাদী হয়ে মাইক্রোবাসের ২ চালক সহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় অস্ত্র মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৯ তাং ২৩/৮/১৬।
ঘটনার বিবরনে ও মামলার এজেহার সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের শনিবার সকাল ১১টায় ২টি মাইক্রোবাস যোগে সরকার দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থী শওকত হোসেনের পক্ষে ১২ জন যুবক সাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করার জন্য যায়। এসময় খবর পেয়ে বিরুধী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর হাজার হাজার লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্রে থাকা ২টি পুলিশের মোবাইল টিম এবং অস্ত্রধারী ১১ যুবককে ঘেরাও করে ফেলে। খবর পেয়ে পোনে ১২টায় ডিবির এসআই ইসমাইল খন্দকার ঘটাস্থলে গিয়ে ফাকা গুলি ছোড়ে উত্তেজিত জনতাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় কেন্দ্রের পাশে অবস্থানরত ঐ ২টি মাইক্রোবাস তল্লাশী করার জন্য এগিয়ে গেলে অস্ত্রধারী যুবকরা ডিবির এসআই ইসমাইল খন্দকার কন্সটেবল আবুল কালাম ও রবিউল আলমকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। ডিবি পুলিশ সড়ে পরলে সেই গুলি সিএনজি চালক সাহাপুর গ্রামের হানিফের ছেলে কবির হোসেন (২১) এর মাথায় লাগে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ডিবি পুলিশ পিছু না গিয়ে ঐ ২টি মাইক্রোবাসে থাকা ১২ জন অস্ত্রধারী যুবককে আটক করে। এসময় মাইক্রোবাস তল্লাশী চালিয়ে আমেরিকার তৈরী ৭.৬৫ ২টি পিস্তল, ম্যাগজিন সহ ৭ রাউন্ড গুলি, ১টি কাটা রাইফেল,৩ রাউন্ড কাট্রুস, ৩টি চকলেট বোমা,২৮ ইন্সি লম্বা ৭টি রামদা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে অস্ত্রধারী যুবকরা কেন্দ্র দখল করতে আসলে এ খবর অনান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন জানতে পারে। তাদেরকে আটক করে গনপিটুনী দিয়ে হত্যার জন্য কয়েকহাজার লোকজন দলবদ্ধ হয়ে কেন্দ্র ঘেড়াও করে ফেলে। অবশেষে ডিবি পুলিশ তাদেরকে আটক করলে এলাকার মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে আসে। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী রহমান আলী, হুমায়ুন কবীর, মোস্তাফিজ, হেলাল উদ্দিন জানায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত হোসেনেরন পক্ষ নিয়ে অস্ত্রধারী যুবকরা ৪টি ভোট কেন্দ্র দখল করে। পরে তারা সাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি পুলিশের মোবাইল টিমের সহযোগিতায় দখল করতে আসলে তাদেরকে প্রতিহিত করার চেষ্টা করে স্থানীয়রা। পরে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কালু পাটওয়ারী ছেলে বাধন পাটওয়ারী সহ ১২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের ২টি মাইক্রোবাস যোগে সরকার ১২ জন যুবক সাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করার জন্য যায়। এসময় তাদের মাইক্রোবাস তল্লাশী করতে গেলে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়লে ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়ায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।