স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদগঞ্জে আটকে রেখে এক নারীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ‘ফরিদগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতাল প্রাইভেটে’ এ ঘটনা ঘটে। যৌন নির্যাতনের শিকার নারী (২৩) পুলিশকে জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে ‘ফরিদগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালে (প্রাইভেট)’ আয়া’র পদে চাকরি করতেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।
সূত্র জানায়, কক্ষ ঝাড়ু দেয়ার জন্য হাসপাতালের এমডি এয়াকুব হোসেন স্বপন নিজের কক্ষে তাকে পাঠান। পরে ঝাড়ু দেয়ার সময় পেছন থেকে স্বপন তাকে ঝাপটে ধরেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে নির্যাতিতা চিৎকার দিয়ে কক্ষ থেকে দৌড়ে বের হয়ে যান। পরে ডিউটি ডাক্তার রাশেদ, চেয়ারম্যান কবির, স্বপন, সোহাগ, আমির হোসেন, ইসমাইল পুলিশ, আয়া শিল্পী, আঁখি, কাজল, কেয়া, মনি প্রমুখদের ঘটনা জানান। কিন্তু মালিক পক্ষের লোকজন ঘটনা গোপন রাখার জন্য তাকে পরামর্শ দেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা তাকে আটকে রাখে এবং বাড়ি যেতে দেননি। তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলেও পুলিশ জানান। ঘটনার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর ইউএনও জয়নাল আবদীন খবর পান। তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করেন। এতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে সে আরও জানায়, এর আগেও এমডি স্বপন তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছে। নির্যাতিতা এ নারী আরও জানান, এর আগে এমডির দায়িত্বে থাকা শাহীনও অপর এক আয়ার সঙ্গে একই কাজ করলে তাকে এমডির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এবং ইতিপূর্বে আরও কয়েকজন নারী বিভিন্ন সময় এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু, পারিবারিক দারিদ্র্যের কারণে সবাই ঘটনা চেপে বা নীরবে সহ্য করেছেন। এ ব্যপারে এসআই রহিম নির্যাতিতার অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তপূর্বক ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত এমডি এয়াকুব হোসেন স্বপন গা-ঢাকা দিয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের একজন পরিচালক আমির হোসেন বলেন, আয়ার পক্ষ থেকে যৌন নির্যাতানের অভিযোগ শোনার পর আমরা নিজেদের ভেতরে উপযুক্ত বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম। অভিযুক্ত স্বপনকে না পাওয়ায় দেরি হয়ে গেছে।