ফরিদগঞ্জে ছকিনা বেগম পরানী (২৩) নামে দুই সন্তানের জননীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শনিবার রাতে দায়েরকৃত মামলায় স্বামী কাউছার আটক হয়েছে। এর আগে থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর গ্রামের মমিন চৌকিদারের ছেলে সিএনজি স্কুটার চালক কাউছারের সাথে হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মারামুড়া গ্রামের সহদ খলিফার মেয়ে ছতিনা বেগম পরানীর গত ৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে রাজিয়া (৩ বছর) ও মারিয়া (৩ মাস) বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আর্থিক অনটনের কারণে ঝগড়া-বিবাদ লেগে ছিলো। গত শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছকিনা বেগম ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহনন করে।
মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ছকিনা বেগম পরানীর বাবা সহিদ খলিফা বাদী হয়ে তার মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করে।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ শনিবার রাতে লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে ছকিনার স্বামী কাউছারকে রাতেই আটক করে পুলিশ। রোববার সকালে লাশের পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে। একইভাবে কাউছারকে রোববার সকালে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, মামলা দায়ের ও স্বামী কাউছার আলমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।