আটক হুমায়ুনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী রায়পুর উপজেলা সদর এলাকার বাওয়াতি বাড়ি, পিতার নাম মৃত আবুল কালাম। হুমায়ুনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানার একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। ডাকাতি মামলার আসামী হিসেবে গত কদিন আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছে বলে রায়পুর থানার পুলিশ সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাবাসাী জানায়, ফরিদগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা দক্ষিণ সাহেবগঞ্জ গ্রামে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে একদল লোক দলবদ্ধ হয়ে ঘুরাফেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা জমাদার বাড়িতে হানা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতে সন্দেহ হলে গ্রামবাসী ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এ সময় হুমায়ুনকে জনতা আটক করতে সক্ষম হলেও তার অপর সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। জনগণ তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। উল্লেখ্য, গত কদিন ধরে ফরিদগঞ্জে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে চলছে। সম্প্রতি সেই গ্রামের আবদুর রহমান নামের এক ব্যক্তির প্রায় ৩ লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেল চুরি হয়। এমতাবস্থায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা দিতে থাকে। ফলে গ্রামবাসী ডাকাতির প্রস্তুতিকালে হুমায়নকে আটক করে।
ওই রাতে টহলরত ফরিদগঞ্জ থানার এসআই সুমনসহ তার সঙ্গীয় ফোর্সের হাতে হুমায়ুনকে সোপর্দ করে দেয় গ্রামবাসী। তবে উত্তেজিত জনতার বেধড়ক পিটুনিতে হুমায়ন আহত হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গতকাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই সুমন বলেন, আটক হুমায়ুন বলেছে সে ওই রাতে নাকি তার বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় গ্রামবাসী ডাকাত ডাকাত বলে তাকে আটক করে। তাকে রিমান্ডে এনে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আবেদন করার প্রস্তুতি রয়েছে।