ফরিদগঞ্জে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত মূল আসামী শিমুলকে ১১ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ও এস.আই নূরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ আটক করে।
৯ জানুয়ারী রোববার উপজেলার গুপ্টি পুর্ব ইউনিয়নের স্কুলে থেকে বাড়ি পেরার পথে তিন বখাটে শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে লিপি বেগমের বসত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ধর্ষক।
ছাত্রীকে পরে ওই ছাত্রী ধর্ষকের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে জানালে একইদিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্যঃ ৯ জানুয়ারী রাতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের সহযোগিতা করায় তিন সন্তানের জননী লিপি বেগম (৩২)কে আটক করে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপর দুই আসামী ইজাজ হোসেন (২৩) ও সাব্বির হোসেন (২৬)কে ১০ জানুয়ারী সোমবার সকালে কুমিল্লা থেকে আটক করে। এছাড়াও ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামীকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সু-কৌশলে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতরা বিজ্ঞ আদালতে শিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা তাদের অপরাধ শিকার করেছে। সবশেষ আমরা মূল আসামীকেও লঞ্চ টার্মিনাল থেকে আটক করেছি। আমরা সকল আইনী ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি খুব তারাতারি ঘটনার তদন্ত শেষ করতে পারব।