ছেলের হাতে মা, কিংবা মায়ের হাতে সন্তান খুন হওয়ার পর লোমহর্ষক গঠনা প্রায়ই খবরের কাগজে দেখতে পাই। এমনই এক হৃদয়বিদারক গঠনা গঠেছে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে।
ঘটনার বিবরণ জানাযায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালীর দেওয়ান বাড়িতে নিজ মাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই সে পালিয়ে যায়। মাকে খুন করার ঘটনাটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হত্যাকারীকে ধরিয়ে দেওয়ার সংবাদ ও ছবি দেখে স্থানীয় জনতা ঘাতককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
২৭ অক্টোবর বুধবার ভোরে দেওয়ান বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত মনোয়ারা বেগমের (৬৫) লাশ থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম আবুল হাশেমের ছেলে মমিন দেওয়ান ঘুমের মধ্যে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়। ফরিদগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ ঘাতকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে জনতা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভাটিরগাঁও এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, এক সন্তানের জনক মমিন ১৭ বছর পূর্বে রূপবান নামের এক নারীকে হত্যা করেছে। যে খুনে জেলও খেটেছে মমিন। সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। প্রায়ই পরিবারের লোকদেরকে হত্যা করার কথা বলতে সে।
এ বিষয়ে বাড়ির একাধিক লোকজন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘সে বাহিরের সকল মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতো। শুধু ঘরে গিয়ে তার মা এবং পরিবারের লোকদেরকে খুন করবে বলে হুমকি দিতো। গতরাতেও সে এবং তার মা ছাগলের বাছুরকে দুধ খাইয়েছে। সে মানসিক রোগী ছিল। যার কারণে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে সে।’
৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জেনেছি সে মানসিক রোগী। পারিবারিকভাবে সে ভালো ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে বৌ চলে যায়। এ কারণেই সে হতাশায় ভুগতো। পূর্বে চাচাতো বোনকে গলাকেটে খুনের দায়ে অনেকদিন জেলেও খেটেছে।’
ফরিদগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ‘আমরা শুনামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে এসেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলার দায়ের করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করেছি।