রফিকুল ইসলাম বাবু।
টেন্ডারের ১০ মাসেও চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে কামতা বাজারের সেতুর কাজ শুরু হয়নি। দুই কোটি ৫লাখ টাকায় টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হলেও গুটি কয়েক র্ধূত ব্যক্তির বাধার কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কারণে অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ নতুন ব্রিজের সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। জনস্বার্থে ব্রিজের কাজ দ্রুত শুরু ও শেষ করার দাবি বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে স্থান নির্ধারণে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় যথাসময়ে কাজ শুরু করা সম্ভব না হলেও বর্ষা শেষ কাজ শুরু করার কথা জানানো হয়। ৩৯ মিটার দৈর্ঘের ও সাড়ে ৫ মিটার প্রস্থের কামতা বাজার ব্রিজের টেন্ডার সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর। কাজ পায় এমডি ইউনিস এন্ড ব্রাদার্স। ঠিকদার প্রতিষ্ঠান কাজ করতে সরঞ্জাম নিয়ে আসলেও কাজ শুরু করতে দেয়নি স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি। তাদের দাবি নতুন জায়গা দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। অথচ এলাকাবসী ও বাজার ব্যবসায়ীদের দাবী পুরুনো স্থানে ব্রিজটি নির্মিত হলে ব্যবসা ও জেলা উপজেলার সাথে যোগাযোগে সুবিধা হবে। তাদের দাবি দ্রুত কাজ শুরু ও শেষ করা হোক। আলহাজ শাহ মোঃ সফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জানান,এ সেতুটি হলে হাজীগঞ্জ, রামগঞ্জ, রায়পুর, লক্ষীপুর চাঁদপুর সহ ফরিদগঞ্জের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সমস্যা সমাধানসহ সময় ও পরিবহন ব্যয় কমে আসবে। বাজারে ব্যবসা বাজিন্য জমে উঠবে। এলাকার সচেতন মহল বলছে, একটি স্বার্থন্বেসি মহল বর্তমান স্থান থেকে ব্রীজটি সরিয়ে অন্যত্র নির্মণের দাবি তুলে আসছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম মজিবুর রহমান জানান, টেন্ডারের পর কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় কিছু লোক ব্রিজটি নতুন স্থান দিয়ে করতে দাবি জানায়।কিন্তু নকশা পরিবর্তন করে অন্যত্র করার জন্য যে দাবী উঠেছিল তা করা সম্ভব নয়। কারণ নতুন স্থানে একপাশে এপ্রোচ সড়ক নেই। বর্ষার পানি কমলে এ শুকনো মৌসুমে ব্রিজ নির্মানের কাজ শুরু হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।