স্টাফ রিপোর্টার
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফরিদগঞ্জে প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর এবং মহিলাসহ ৪জনকে আহত করেছে। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ জানিয়েছে, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পূর্বে সৃষ্ট সংঘর্ষের জের ধরে একে অপরের উপর পাল্টাপাল্টি হামলা ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
জানা যায়, চরভাগল গ্রামের মরহুম আবুল কাশেম পাটওয়ারীর ছেলে ওয়ায়েস কুরুনীকে গত বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নয়হাট বাজারের ডলফিন বেকারির পেছনে নিয়ে অভিযুক্তরা বেদম মারধর করে। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওয়ায়েস কুরুনী ও হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা তাদের বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর করে এবং তাদের বাধা দিতে গিয়ে বৃদ্ধা ফয়েজুন্নেছা (৬০), গৃহবধূ রুবী বেগম (২৫) ও নার্গিস বেগম (২৮) সহ অন্তত ৪ জন আহত হয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান দিদার, মিল্টন, কামাল হোসেন, কাঞ্চনসহ ১৪ জনকে আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে ওই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার এসআই রহমত আলী জানান, গত ৮ মে দুই গ্রুপের ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে দিদার নামে একজন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা মারামারি এবং সর্বশেষ বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে গেলে চরভাগল গ্রামের মজিবুর রহমান বাদশা ও মিজানুর রহমান জানান, পরিকল্পিতভাবে হামলা করে হাবিবুর রহমানের তিনটি বসতঘর ভেঙ্গে তছনছ করা হয়। অন্যদিকে সিরাজুল হক পাটওয়ারীর ছেলে আক্কাছ পাটওয়ারী জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন শুক্রবার রাতে তাকে তার ভাই আব্বাছ এবং ভাতিজা দিদারকে বেদম মারধর করে। গুরুতর আহত আব্বাছ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।