* প্রতিনিধি *
ফরিদগঞ্জের ৪নং সুবিদপুরের সালদাহ গ্রামের বিল্লাল তালুকদারের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের মধ্যে ২ জনকে আটক করে সাথে থাকা ৯টি দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে এবং অন্য সন্ত্রাসীরা আরো অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে গতকাল ৮ মার্চ সকাল ১১টায়।
খবর পেয়ে সালদাহ বিল্লাল তালুকদারের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, শত শত জনতা পুলিশের নিকট সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিচ্ছে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী ও সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে আহত মমিনা, জাফরী, ইছহাক, হাফেজ, সফিক, ফারুক, নাঈম, হান্নানসহ আরো অনেকে জানান, একই গ্রামের বাদশা, আবু তাহের ও তার ছেলেরা এবং বিল্লাল মিয়া, আবুল কালাম, কাদর আলী, হারুনুর রশিদ, আবুল খায়ের ও তার ছেলেরাসহ অজ্ঞাত আরো কজন মিলে বিল্লাল তালুকদারের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ হামলা শুরু করে। বাড়িতে থাকা বিল্লাল তালুকদারের মা চিৎকার শুরু করলে আমরা এসে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করি। পরে আমাদের সাথে আরো অনেকে এসে যোগ দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের দ্বারা আমরা অনেকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হই এবং তাদের সাথে থাকা কিছু অস্ত্রসহ কালাম, আবু তাহের, উভয় পিতা কাদর আলী দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি। ঘটনার সময় বিল্লাল তালুকদার বাড়িতে ছিলেন না। তার দু ভাই নূর মোহাম্মদ তালুকদার ও ইউসুফ তালুকদার দেশে না থাকায় এ সময় বাড়ি ছিলো ফাঁকা।
বিল্লাল তালুকদার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমি সকালে বাড়ি থেকে নিজের কাজে চলে যাই। ঘটনাটি ফোনে আমাকে জানালে বাড়িতে এসে দেখি এ কাণ্ড। এমন কেনো হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পুরির ঠাকুর বাড়ির এরা আগে থেকেই সন্ত্রাসী এবং জবরদস্তি প্রকৃতির। আমরা এলাকায় অন্যদের তুলনায় একটু ভালো আছি। তাই ইতিপূর্বে তারা একাধিকবার আমাদের কাছে চাঁদা চেয়েছে এবং জিডি করাও আছে। কিন্তু কেনো আজ (গতকাল) আবার তারা আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করেছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এছাড়া তাদের হামলার সময়ই পুলিশ কেনো এলো তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি জানান। অন্যদিকে অনেকেই জানান, সন্ত্রাসীদের কাছে কয়েকটি রিভলবারও ছিলো এবং তাদের সাথে এক ব্যাগ মরিচের গুঁড়াও ছিলো। বর্তমানে এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।