ফরিদগঞ্জে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই দফা হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে সভা ও বিক্ষোভ মিছিল পণ্ড করে দেয়া হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ওই হামলা করেছে, ওই সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন। আহত নাজিম উদ্দিন (৩৮), মামুনুর রশিদ পাটওয়ারি (৪০), তানভীর আহমেদ নকিব (৪১) ও আজিম খান (৪৫)কে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পেশাগত কাজ করার সময়ে জাকির হোসেন নামে একজন সংবাদকর্মীকে পিটিয়েছে হামলাকারীরা। গতকাল বিকালে এ ঘটনা স্থানীয় পার্টি কার্যালয়ে ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পার্টি কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বেলা তিনটার পর নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা কার্যালয়ে উপস্থিত হতে শুরু করেন। বিকাল চার ঘটিকা নাগাদ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে প্রায় শ’ খানেক সমর্থক বিএনপি কার্যালয়ে হামলা করে।
তারা সেখানে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ও কয়েকজনকে মারধর করে চলে যায়। ওই সময় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে সমস্ত চেয়ার ভাঙচুর করা ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিএনপি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সভাপতি শরীফ মোহাম্মদ ইউনুছ দাবি করেছেন, সভার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই পুলিশ আমাদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের সামনেই ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। যুবদল উপজেলা সদস্য সচিব আবদুল মতিন বলেছেন, হামলাকারীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।