শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং বালুথুবা ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাজার থেকে মোটর সাইকেল ভাড়া নিয়ে চালানোর নাম করে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চোর সনাক্ত হলেও ফরিদগঞ্জ থানায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামিম মামলা রেকর্ড না টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ২নং বালুথুবা ইউনিয়নের শোশাইচর গ্রামের মৃত ফজলুল হক বেপারীর ছেলে আবু তাহের কালু পাটওয়ারী বাজারে সাফিয়া ট্রেডার্স দোকান দিয়ে গ্যারেজের ব্যবসা করে আসছে। তিনি চাঁদপুর ষ্টেডিয়ামে চাঁদ মটরস দোকান থেকে এফআসি লাল রঙ্গের চাঁদপুর ল-১১-১৩৪১ একটি মোটর সাইকেল ক্রয় করে ঘন্টা অনুযায়ী ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। গত ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর বিকেল ৫টায় ফরিদগঞ্জ চান্দ্রা বাজারে দক্ষিন গলির কবুতর হাটা সংলগ্ন আনোয়ারের ছেলে শাহ এমরান (২০) পাটওয়ারী বাজার গিয়ে মোটার সাইকেলটি ভাড়া নিয়ে চাঁদপুরে হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায়। তাকে খোজ করে না পেয়ে মোটর সাইকেলের মালিক আবু তাহের কালু ফরিদগঞ্জ থানায় শাহ এমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই শামিম ঘটনার সত্যতা প্রমান পায়। অভিযুক্ত শাহ এমরানের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে চলে আসে। চুরির ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শাহ এমরানের পরিবারের লোকজন মামলা না হওয়ার জন্য পুলিশকে ম্যানেজ করে। তার পর থেকে থানায় মামলা রেকর্ড না করার টালবাহানা করছে বলে জানিয়েছেন আবু তাহের কালু। তিনি আরো জানায় চুরির ঘটনার মূল হোতা শাহ এমরানকে মামলা তেকে বাচাতে চান্দ্রার আরো কয়েকজন দালাল চক্র চেষ্টা চালায়। ঘটনা সমোঝতা ও চুরি হওয়া মোটর সাইকেলটি উদ্ধার হওয়ার কথা বলে চোরের পক্ষ নিয়ে চান্দ্রা বাজার মৃত সিরাজ গাজির ছেলে মাসুদ গাজি, বাসু জমাদারের ছেলে শরীফ ও রফিক বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী তারা তিন জন মিলে কৌশলে খালি ষ্ট্যাম্পে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর নেয়। মোটর সাইকেল উদ্ধার করে না দিয়ে ক্ষতিপূরন বাবদ ১ লক্ষ টাকা দিয়ে মোটর সাইকেলর লাইসেন্সটি তাদেরকে দিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। চোরের কাজ থেকে মোটর সাইকেলটি নিয়ে নিজেরাই আত্বসাৎ করার গভির পরিকল্পনার পায়তারা করে। এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মনিরের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোটর সাইকেলটি অচিরেই উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে অচিরেই সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।