ফরিদগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নে স্কুল পিয়ন আটক
আরেক শিক্ষার্থীর অশ্লীল দৃশ্য ইউটিউবে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে ৫ম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অশ্লীল দৃশ্য ইউটিউবে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ১৮২নং হাঁসা সপ্রাবিতে শুক্রবার ৫ম শ্রেণির কোচিং শেষে ওই শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নৈশ প্রহরী কাম পিয়ন মানিক (২৫) রুমে তালাবদ্ধ করে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই শিক্ষার্থীর মা স্কুলে এসে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় শুক্রবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ পিয়ন মানিককে আটক করে।
এদিকে যৌন নিপীড়নের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে পিয়ন মানিকের মামা সোহেল হোসেন জানান। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সাজানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব মোল্লা জানান, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পাইকপাড়া ইউজি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্র আনিছুর রহমান একই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বেশ কয়েক দিন আগে স্কুলের একটি পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে জোর করে শ্লীলতাহানির অশালীন দৃশ্য তার বন্ধু ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আব্দুল কাজীকে দিয়ে মোবাইলে ভিডিও হিসেবে ধারণ করে। পরে তা ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়। তারপর থেকে আনিছ ও আব্দুল কাজী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকা জুড়ে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অপরদিকে স্থানীয় টাউটবাটপারা ছাত্রীর বাবা ও প্রতিবাদকারীদের হুমকি ধমকি দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ আমরা বসে অভিযুক্ত ছাত্র আনিছকে স্কুল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি। ঘটনার শিকার ছাত্রীটির নিরীহ বাবা গত ৫দিন আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ ভূঁইয়া জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকদের ঘটনা সুরাহা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নচেৎ তিনি বিচার কার্য করবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবদিন বলেন, বিষয়টি জেনে আমি থানা পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ দু’অপরাধীকে ধরার জন্যে কাজ করছে। তারা আটক হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।