নিজস্ব প্রতিনিধি-
গতকাল শুক্রবার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের দু’টি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ঢাকা যাওয়ার পথে উপজেলা সদরের কালিরবাজার চৌরাসত্দা এলাকায় সাংবাদিক শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নিজ দলের প্রতিপক্ষের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা অতর্কিত এ হামলা চালিয়েছে বলে সাংবাদিক শফিকের গাড়ি বহরে থাকা লোকজন জানিয়েছে। তারা এও জানিয়েছে ড. শামছুল হক ভূঁইয়া ও সাহেদ সরকারের উপস্থিতিতে এ হামলা হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা ৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও দুটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগরের প্রাইভেটকারও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শাহজালাল সুইট, সবুজ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা সুলতান ও আফছারসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগর জানান, সাংবাদিক শফিকুর রহমানসহ তিনি গাড়িযোগে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের দুটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ধানুয়া যাওয়ার পথে কালিরবাজার চৌরাস্তায় পৌঁছলে লিটন হাজারীসহ একদল উচ্ছৃঙ্খল কর্মী তাদের উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করা শুরু করলে সাংবাদিক শফিকুর রহমান তাদের সাথে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে তারা তাদের উপর হামলা করে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুল হক ভূঁইয়া সেখানে উপস্থিত হলে তার পৰের লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর জোরালো হামলা করে। এ সময় তারা ৬/৭টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তিনি জানান, তার প্রাইভেট কারটিও ভাংচুরের শিকার হয়। এ ঘটনার সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া বলেন, সাংবাদিক শফিকুর রহমান ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন বা তার লোকজন তা করছে। তিনি বলেন যে, আগামী সংসদ নির্বাচনে যখন তিনি ফরিদগঞ্জ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্ধিত সভাসহ নানা সভা-সমাবেশের মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তখন এ ধরনের ঘটনার জন্ম দেয়া দুঃখজনক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এ ঘটনার ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ফরিদগঞ্জ উপজেলা পূজা মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করার লক্ষে চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জে আসার পথে কালিরবাজার চৌরাস্তায় এসে পৌঁছলে সেখানে জটলা দেখতে পান। পরে সাংবাদিক শফিকুর রহমান স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করার ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে ভাংচুরের ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা তারা জানেন না।