স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদগঞ্জ উপজেলার খাড়খাদিয়া গ্রামের মৃত শ্রী নাথ চন্দ্র শীলের পুত্র নেপাল চন্দ্র শীলের ফরিদগঞ্জ উপজেলা চান্দ্রাবাজারে অবস্থিত দোকান ঘর কতিপয় ভাড়াটিয়া কর্তৃক জবর দখল করে তাতে ইমারত নির্মাণ করা হয়। শুধু তাই নয় দখলকারীদের প্রাণনাশের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে আছে সংখ্যালুঘু পরিবারটি।
জানা যায় নেপাল চন্দ্র শীল ফরিদগঞ্জ থানাধীন ৭৭নং খাড়খাদিয়া মৌজার সিএস ৩৬, এসএ ৪১ খতিয়ানের এবং বিএস ৪২০নং খতিয়ানে সাবেক ৫৭০ দাগে হালে ৭০৫ এবং ৭০৬ দাগে মোট ১ শতাংশ ভূমির উপর থাকা ৩টি দোকানঘর পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। উক্ত দোকান ঘরে তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় ভাড়া প্রদান করেন। দীর্ঘ বছর যাবৎ মালিক ভাড়াটিয়ার মাঝে সুসম্পর্ক বিরাজ থাকলেও ইদানীং ভাড়াটিয়া দেলু মুন্সী, পিতামৃত- মান্নান মুন্সী, মোঃ সামছল ও আবু তাহের উভয়ের পিতামৃত আবু বক্কর, সর্ব সাং- দেইচর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। তাদের মনে মালিকের সম্পত্তি ও দোকানঘর আত্মসাতের হীন প্রবৃত্তির উদয় হয়। তারা দোকানের মালিক নেপাল চন্দ্র শীলের সাথে কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা ছাড়াই নেপাল চন্দ্র শীলকে দুর্বল ভেবে তার বিনা অনুমতিতে ভাড়া নেয়া দোকানঘরটি পাকা করণের লক্ষ্যে দোকানের পাশে গত ৬ সেপ্টেম্বর ইট, বালু স্তূপ করে। এসব দেখে মালিক নেপাল চন্দ্র শীল ভাড়াটিয়ার নিকট আপত্তি জানায়। তাদেরকে অনুরোধ করে তারা যেনো তার বিনা অনুমতিতে দোকানঘরের কোনোরূপ নির্মাণ বা সংস্কার কাজ না করে। এতে ভাড়াটিয়ারা তার উপর ভীষণভাবে ৰিপ্ত হয় এবং তাকে অস্রাব্য ভাষায় গালমন্দসহ নানা প্রকার হুমকি প্রদান করেন। এতে মালিক নেপাল চন্দ্র শীল ভীত সন্ত্রসত্দ হয়ে পড়ে এবং বাজারের লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। কিন্তু ভাড়াটিয়ারা দুষ্ট ও হিংস্র প্রকৃতির হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহস না পাওয়ায় দোকানের মালিক পৰ আইনের আশ্রয় নেয়। সে মোতাবেক মালিক সুষ্ঠু বিচার ও তার সম্পত্তির উপর যাতে জবর দখলপূর্বক পাকা ভবন না করতে পারে সে জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন দেলু মুন্সী, সামছল হক ও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে। মামলা নং- ১০৭৬/২০১৩। সে মোতাবেক শানত্দি শৃঙ্খলা রৰায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ কোনোরূপ অবৈধ নির্মাণ কাজ না করার জন্য ভাড়াটিয়াদের নোটিস প্রদান করেন। সে মোতাবেক তারা এ ক’মাস কোনোরূপ নির্মাণ কার্যক্রম না চালালেও গত ৩/৪ দিন পূর্ব হতে তারা থানা পুলিশসহ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানের ছাদ পাকাকরণসহ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে সংখ্যালঘু পরিবারটি ভীত সন্ত্রসত্দ হয়ে পড়ে। তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকিতে পাগলের মতো সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংখ্যালঘু পরিবারটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির দখল থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় এবং সুষ্ঠু বিচার সাপেৰ কোনোরূপ হয়রানির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।