রফিকুল ইসলাম বাবু :
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪নং পশ্চিম সুবিদপুর কামতা বাজারে পুরুনো ব্রীজকে সম্প্রসারণ করে নতুন করে নির্মাণের প্রত্যাশা করছে কামতা বাজার ব্যবসায়ীসমাজ ও হাজার হাজার এলাকাবাসি। তাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী যে করেই হোক এ এলাকার পুরুনো ব্রীজটিকে সম্প্রসারন করে একই স্থানে নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা হোক। নতুন করে ব্রীজটি নির্মিত হলে অতত অঞ্চলের হাজীগঞ্জ, রামগঞ্জ, রায়পুর, লক্ষীপুর চাঁদপুর সহ ফরিদগঞ্জের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত সমস্যা সমাধানসহ সময় ও পরিবহন ব্যায় কমে আসবে। এতে করে বাজারটি আরো বেশী জমজমাট হয়ে উঠবে। কামতা বাজারে বর্তমানে যে স্থানে পুরণো ব্রীজটি রয়েছে সে স্থানে ব্রীজ করার জন্য সরকারী ভাবে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এবং ব্রীজের পরিকল্পনা অনুযায়ী টেন্ডার শেষে একটি নকশা প্রস্তুত করে তা ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে পুরনো ব্রিজটি ভেঙ্গে সম্প্রসারন পূর্বক নতুন করে নির্মাণ করার লক্ষে ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। ৩৯ মিটার দৈর্ঘের ও সাড়ে ৫ মিটার প্রস্তের বিজ্রটি সম্প্রসারণ পূর্বক নির্মাণের লক্ষে বিগত বছরের ১১/১১/২০১৫ টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডার আহবান শেষে ব্রিজ নির্মানের কাজটি পান ইউনুস ব্রাদার্স। ঠিকদার প্রতিষ্ঠান কাজ করার জন্য ব্রিজ নির্মানের সরঞ্জাম নির্র্মান স্থলে নিয়ে রাখেন। স্বার্থান্যাসী মহলের বাঁধার কারনে ব্রিজ নির্মানের সরঞ্জাম নষ্ট হতে বসেছে। কিন্তু এলাকার কতিপয় স্বার্থান্যাসী কিছুলোক ব্রীজের অতীত স্থানকে পরিবর্তন করে ও সরকারী আইনকে উপেক্ষা নিজেদের স্বার্থে অন্যত্র ব্রীজ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ইতি মধ্যে ব্রীজের কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাঁধা প্রদান করে স্বার্থান্যাসী মহলের লোকজন। তারা সরকারি মূল নকশার পরিবর্তে সরকারি খাল ভরাট করে অন্যত্র ব্রিজটি নির্মানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাজে বাঁধা দিয়ে আসছে। এলাকাবসী ও ব্যবসায়ীদের দাবী পুরুনো স্থানে ব্রিজটি নির্মিত হলে অন্য এলাকার ব্যবসায় ও সাধারনের চলাচলে সুবিধা হবে। এতে করে কামতা বাজারটি আরো জমজমা হয়ে ওঠবে। অন্যদিকে সরকারে ব্যায়ও কম হবে। এব্যাপারে চাঁদপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান বলেন, সরকারের নকশাকে বলানানে সম্ভব নয়। সরকার পুরুনো ব্রিজকে ভেঙ্গেই সম্প্রসারণ পূর্বক ব্রিজ নির্মানের নির্দেশনা দিয়েছেন। ব্রিজটিকে নকশা পরিবর্তন করে অন্যত্র করার জন্য যে দাবী করা হয়েছে তা সম্ভব নয়। কারন ব্রিজ করতে হলে দ্ইু পাশে রাস্থা থাকার প্রয়োজন। তাই অন্যত্র ব্রিজটি নির্মানের কোন সুযোগ নেই। বর্ষার পানি কমলে এ শুকনো মৌসুমেই পুরুনো স্থানে ব্রিজ নির্মানের কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, বর্তমানে যে স্থানে ব্রীজটি রয়েছে সরকার সে খানেই ব্রীজটি নির্মিত হবে বলে প্লান করেছে। এ স্থানেই যেন ব্রীজটি করা হয়। এখানে ব্রীজটি করা হলে বাজারটি আরো জমজমাট হয়ে উঠবে। একটি মহল তাদের স্বার্থের জন্য চাচ্ছে ব্রীজটি যেন সরকারি খাল ভরাট করে অন্যত্র করা হয়। এতে করে পাশ্ববর্তী ব্রীকফিল্ডটি বন্ধ হয়ে হাজার হাজার শ্রমীকের কর্মসংস্থান শেষ হয়ে যাবে। এলাকাবাসি জানায়, সরকার যেখানে ব্রীজের পরিকল্পনা করেছে অনেক ভেবে চিন্তেই করেছে। কতিপয় লোক তাদের সুবিধার জন্য চাচ্ছে যেন ব্রীজটি অন্যত্র দিয়ে করা হয়। আমরা অনেকে ছোট বেলা থেকে এ ব্রীজটি দেখে আসছি, এ এলাকা দিয়ে হাজার হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়াত করে বর্তমানে যে স্থানে ব্রীজটি আছে সেখানে যদি ব্রীজটি করা হয় তাহলে বাজারের চাহিদা আরো বেড়ে যাবে। এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহাজ সাহ মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, জনগনের স্বার্থে সরকার যেখানে ব্রীজ করার পরিকল্পনা ও নির্দেশ প্রদান করেছে সে স্থানেই ব্রীজ করা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটি মহল বর্তমান স্থান থেকে ব্রীজটি সরিয়ে অন্যত্র নির্মণের পায়তারা করছে। তিনি আরো জানান, এ ব্রীজটি করার জন্য ২ কোটি টাকার বাজেট করা হয়েছিলো। একটি মহল নিজেদের স্বার্থের জন্য সরকারি যে খালটি ভরাট করে ব্রীজ করার পরিকল্পনা করছে সে খালটির ক্ষেত্রে ১৩১২/১৩২০/১৩২৫ কামতা বাজার মৌজায় সি এস ও বি এস খতিয়ানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে এ খালটি বৃহৎ এ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু একটি চক্র সরকারি খাল ভরাট করে সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছে। ব্রীজটির জন্য একাধিকবার মাটি টেষ্ট করা হয়েছে। তবে ব্রীজটি পুরুনো স্থানে হলেই ভালো হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।