প্রতি বছরই ঈদকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর সড়কে সিএনজি অটোরিঙ্ার অসাধু চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন/চার গুণ ভাড়া আদায় করেই যাচ্ছে। যাত্রীরা এই অসাধু চালক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। অথচ সরকারের কোনো সংস্থাই এ ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছে না। গতকাল শনিবার থেকেই মাত্রাতিরিক্ত হারে এ ভাড়া আদায় শুরু হয়ে গেছে বলে যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে।
ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর সড়কে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের এ বিষয়টি সর্বমহলেই এখন অপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে ঈদে বাড়ি ফেরা লোকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জনস্বার্থে এ বিষয়টির ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল ও পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জ যাতায়াতের দূরত্ব প্রায় ২৪ কিঃমিঃ। এ দূরত্বের জন্যে সিএনজি স্কুটারে যাত্রীপ্রতি নির্ধারিত ভাড়া ৪০ টাকা । অথচ প্রতিবছরই ঈদকে পুঁজি করে যাত্রীপ্রতি দেড়শ থেকে ২শ’ টাকা আদায় করে থাকে অসাধু চালকরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। লোকলজ্জা কিংবা হয়রানির ভয়ে কোনো যাত্রী এ জুলুমের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিবছরই ঈদকে কেন্দ্র করে শহর ছেড়ে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে আসা লোকদের কাছ থেকে এক শ্রেণীর অসাধু চালক মাত্রাতিরিক্তি ভাড়া আদায় করে থাকে। চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ২৪ কিঃমিঃ। আর এ দূরত্বের জন্যে সিএনজি অটোরিঙ্ার নির্ধারিত ভাড়া ৪০ টাকার স্থলে যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। প্রতিদিনই উক্ত সড়ক দিয়ে কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে নদী পথে চাঁদপুর এসে ফরিদগঞ্জের যাত্রীরা যখন ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে সিএনজি স্কুটারে করে যাত্রা করে, তখনই যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে সিএনজি স্কুটার চালকরা জানায়, ঈদের সময় একদিকের যাত্রী পাওয়া যায়। অর্থাৎ চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জগামী যাত্রীই পাওয়া যায়, ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর যাওয়ার সময় যাত্রী পাওয়া যায় না। এমন অজুহাত দেখিয়ে প্রতি বছরই ঈদকে পুঁজি করে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছেই।
তবে সিএনজি স্কুটারের ক’জন মালিক জানান, চালকরা জমা হিসেবে প্রতিদিন আমাদের যা দেয় ঈদের সময়ও তাই দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, ঈদকে কেন্দ্র করে ২৪ কিঃমিঃ যাতায়াতের রাস্তার নির্ধারিত ৪০ টাকা ভাড়ার স্থলে দ্বিগুণ ভাড়া নিলেও আপত্তি থাকে না। কিন্তু অসাধু চালকরা ৪০ টাকার স্থলে ২০০ থেকে তিনশ টাকা আদায় করে।
ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, অন্তত ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের আগে ও পরে কমপক্ষে ১৫ দিন প্রশাসনের নিবিড় তদারকিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে উক্ত বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হোক।