স্যার আমার জমিটা আরেকজন দখল নিয়ে নিয়েছে ।দখলদারদের জোড় বেশি ।আমার ন্যায্য সম্পত্তির অধিকার আমি ভোগ করতে পারছি না ।পুলিশের জবাব আসে আপনি কার রেফারেন্সে এসেছেন ।জবাব আসে অমুক এমপি কিংবা মন্ত্রী অথবা প্রভাবশালীর ।তখন কাজ ঠিক হয়ে যায় ।সঠিক কথা হল বর্তমানে কেউ কোন সমস্যায় পড়লে প্রথম যাওয়া হয় প্রভাবশালী কোন ব্যক্তির কাছে ।প্রভাবশালী ব্যাক্তিটি হয়তো কোন রাজনইতিক নেতা অথবা নেতার মদদপুস্ট ।
আমাদের আইন আদালত বলতে প্রথমত বুঝায়,কোন প্রভাবশালী ব্যাক্তির কাছে যাওয়া ।থানায় মামলা নেওয়া হচ্ছে প্রভাবশালী ব্যক্তির ইচ্ছায় ।আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হয় সব “বাংলাদেশের সব অফিস আদালত প্রভাবশালী ব্যাক্তির দখলে ”।অপহৃত একটি ছেলেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হল ।কিন্তু যেদিন রিলিজ দেওয়া হবে ওইদিন তাকে মাথাব্যাথা আর শরীর ব্যাথার ট্যাবলেট দিয়ে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেওয়া হয় ।অবশ্য প্রভাবশালী ব্যাক্তির কারনে থানায় মামলা নিতে বাধ্য করা হয়েছিল ।
আমার কথায় হয়তো কোন রাজনীতিবিদ কষ্ট পেতে পারেন,কিন্তু আপনি কষ্ট পেলেও আপনার কিছু করার থাকবেনা ।কারন আপনার লজ্জা থাকুক আর না থাকুক ভোট চাওয়ার সময় ঠিকই আমাদের সাধারন মানুষের কাছে চলে আসেন ।আপনারা নির্লজ্জের মত আমাদের কাছে ভোট চাইতে পারেন,কিন্তু মানবতার কল্যাণে কাজ করতে আপনাদের কষ্ট হয় ।
আমার মতে,আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী আগামীতে ভুল করবেনা ।আমাদের গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিতে সুশিক্ষিত নাগরিক নেতা হবে ।আমরা বিশেষ কোন দল দেখে ভোট দিব না,সুশিক্ষিত নেতা দেখে ভোট দিব ।আশা করব রাজনীতিতে পরিবর্তনের বিশাল ধাক্কা লাগবে ।কোন প্রভাবশালী নেতার কাছে কেউ ঘুষ নিয়ে গেলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে ।তার আগে অবশ্য পুলিশ জাতিকে ঠিক হতে হবে ।সবাই বলে পুলিশ খারাপ কিন্তু আমার পরিচিত এক পুলিশ সদস্য বলেছিলেন পুলিশ জাতি খারাপ না ।আমাদের পুলিশের মধ্যে এমন লোকজন আছে যাদের নাকি আল্লাহ এমনিতে বেহেশত মঞ্জুর করবেন ।তারা নাকি এত ভদ্র ।আমি জিজ্ঞাসা করলাম কত পারসেন্ট ।জবাব আসল প্রায় ৬০% ।আমি অবাক হলাম ,চিন্তাও করলাম যে,এরকম না হলে হয়তো পুলিশ প্রশাসন টিকে থাকতো না ।ভাল মানুষ এখনও আছে ।এমন অনেক ব্যাক্তি থাকতে পারেন যাদের ঘুষের টাকা ভাগ হয়ে চলে আসে ,কিন্তু তারা ওই ঘুষের টাকা নেন না ।গরীব-অসহায় মানুষ কিংবা মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দিরে বন্টন করে দেন ।
আমরা চাই না আমাদের দেশের কোন রাজনীতিবিদ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করুক ।প্রভাবশালী কোন ব্যাক্তির প্রভাবে সমাজের সাধারণ জনগণ আতংকে থাকুক ।আমরা বাঙ্গালী ।আমরা সব শিখেছি,হারতে শিখি নাই ।প্রভাবশালী হয়ে সমাজের সঠিক আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হলে সমাজপতি,প্রভাবশালীদের প্রতি আমাদের কোন আফসোস নেই।
মোঃ জিহাদুল ইসলাম