ফাহিম শাহরিয়ার
বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ চাঁদপুর অঞ্চলে গ্যাসের সংযোগের নামে ঠিকাদার ও সুপার ভাইজাররা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গ্রাহকদের ধোঁকা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদপুর জেলায় গ্যাসের সংযোগ অনুমোদন হওয়ার পর গ্রাহকরা ডিমান নোট জমা দেয়ার পরেও সংযোগের জন্য ঠিকাদার ও সুপার ভাইজারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সংযোগ পাচ্ছে না। তাদের চাহিদা মতো মোটা অংকের টাকা না দিলে মাসের পর মাস গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য ঘুরতে হয়। একমাত্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কম সময়ের মধ্যেই গ্যাসের সংযোগ পাচ্ছে গ্রাহকরা। অভিযোগ রয়েছে, একটি গ্যাসের রাইজার বসাতে অর্থাৎ গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে ঠিকাদাররা ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে কন্ট্রাকের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে সংযোগ দিয়ে টাকা নিচ্ছে। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নয়া কৌশল অবলম্বন ও গ্যাস অফিসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ঠিকাদাররা গ্রাহকদের কাছ থেকে অধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্যাস সংযোগ অনুমোদন পাওয়া গ্রাহকরা ডিমান নোট জমা দেয়ার পরেও ঠিকাদার ও সুপার ভাইজাররা সংযোগ দেয়ার নামে চাঁদাবাজি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সিরিয়াল মোতাবেক সংযোগ না দিয়ে কন্ট্রাকের মাধ্যমে মোটা অংকের বিনিময়ে সবার আগে গ্যাসের সংযোগ দিচ্ছে। ¬সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি গ্রাহক ১০ ফুট পাইপ পাওয়ার কথা, কিন্তু ঠিকাদার ও সুপার ভাইজাররা সরকারি পাইপের টাকা জালিয়াতি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। যেসব গ্রাহকদের ১০ ফুট ব্যাতিত অতিরিক্ত গ্যাস পাইপের দরকার হচ্ছে তাদের কাছ থেকে ঠিকাদাররা দালাল চক্রের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভ্রান্তি করে হাজার হাজার টাকা নিচ্ছে। সুপার ভাইজাররা গ্যাস সংযোগ দেয়ার নাম করে রাস্তা কেটে দীর্ঘ দিন ফেলে রেখে তাদের চাহিদা মতো টাকা পাওয়ার পরেই সংযোগ গ্যাসের পাইপ স্থাপনের পর সংযোগ দিচ্ছে। গ্যাসের সংযোগের অনুমোদন পাওয়া যেসব গ্রাহকরা তাদের চাহিদা মত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের মূল ফাইল অফিস থেকে উদাও করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। হারানো ফাইল নতুন ভাবে করে দেয়ার নাম করে পুনরায় গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে ঠিকাদাররা। গ্যাসের সংযোগ পাওয়া কয়েকজন গ্রাহক জানায়, তিন বছর পূর্বে গ্যাস পাওয়ার জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে ফাইল প্রসেসিং করে গ্যাসের সংযোগ অনুমোদন হওয়ার পরেও দীর্ঘ দিন গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের কাছে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। ঠিকাদারের দালাল চক্রের মাধ্যমে মুলত গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্রুত গ্যাস দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। গ্যাসের ডিমান্ড নোটের পরেও ঠিকাদররা ৫০-৬০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের চাহিদা মতো টাকা দেয়ার পরে শুরু হয় নতুন কাহিনী। এবার সুপার ভাইজারদের চাহিদা মত টাকা না দেয়ায় ঘুরতে হয় কয়েক মাস। চাঁদপুর জেলা গ্যাস সংযোগের মেইন ঠিকাদার কুমিল্লার নাছিম। তার নিয়ন্ত্রনে চাঁদপুরে সুমন ও জামাল নামে রয়েছে দুই জন সুপার ভাইজার। তারা গ্রাহকদের গ্যাসের সংযোগের নামে মেইন রাস্তা কেঁটে দীর্ঘ দিন রেখে দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে একে অপরকে দেখিয়ে দিয়ে টাল বাহানা শুরু করে। চাঁদপুরের সুপার ভাইজার সুমন জানায়, চাঁদপুর শহরে ৬৪৪ টি নতুন পাইপে গ্যাস সংযোগের অনুমোদন হয়েছে। এর অধিকাংশ সংযোগ দিলেও বাকীগুলো এখনো নির্ধারিত সময়ে দিতে পারছে না। তাদের গ্যাসের মেশিন পুরাতন হওয়ার কিছু দিন পর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মেরামতের জন্য দেরি হচ্ছে। বাখরাবাদ গ্যাস অফিস সূত্রে জানাযায়, যেসব গ্রাহকরা গ্যাসের সংযোগের অনুমোদন পেয়ে সুপার ভাইজাররা গ্যাসের পাইপ স্থাপন করেছে। গ্যাস রেগুলেটর সংকটের কারণে তাদের কিছু সংখ্যক গ্রাহকদের সংযোগ পাচ্ছে না। তাই গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। গ্যাসের রেগুলেটর আসার পর পরই গ্রাহকদের সং
শিরোনাম:
বুধবার , ২৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।