চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের থ্রী স্টার সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের মালিক পক্ষের কাছে ঋণ চাইতে গিয়ে ৩সন্তানের জননীকে শ্লীলতা হানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বাগাদী ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী গ্রামে অবস্থিত থ্রী স্টার সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের কাছে ৪০ হাজার টাকার ঋণ চাইতে গিয়ে একই গ্রামের খোকন পাঠানের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৩০) ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বারেক গাজীর পুত্র সমিতির পরিচালক আব্দুল হাসেম গাজী ও বাচ্চু পাটওয়ারীর পুত্র সমিতির সেক্রেটারী মমিন পাটওয়ারী কু-প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি থাকলেই ৪০ হাজার টাকার ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানায়।
এলাকাবাসী ও পাঠান বাড়ির বাসিন্দারা জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী পাঠান বাড়ির ৩ সন্তানের জননী খোকন পাঠানের স্ত্রী রাশিদা বেগম সমিতির সেক্রেটারী মমিন পাটওয়রীর কাছে ৪০ হাজার টাকা ঋন চায়। মমিন পাটওয়ারী তাকে ঋন পাওয়াটা নিশ্চিত হওয়ার কথা বলে সমিতির অপর মালিক আব্দুল হাসেম গাজীকে নিয়ে রাতে খোকন পাঠানের বাড়িতে যায়। তারা ঘরে ঢুকে রাশিদা বেগমের শ্লীলতা হানির চেষ্টা চালায়। এসময় রাশিদা তাদের মতলব বুঝতে পেরে দ্রুত তাদের হাত থেকে বাচার জন্য পাশবর্তী ঘরে চলে যায় এবং বাড়ির লোকজনকে ঘটনাটি জানায়। এরই ফাঁকে মমিন পাটওয়ারী ও আব্দুল হাসেম গাজী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি রাশিদা তার স্বামী খোকন পাঠানকে জানালে সে ঐ সমিতির সভাপতি মোতালেব গাজীকে বিষয়টি অবহিত করলে ঘটনাটি জেনে অভিযুক্তদের উপযুক্ত বিচার করা হবে বলে তাকে আশ্বস্ত করে।
এ ব্যাপারে রাশিদা বেগম জানায়, আমাদের সংসার দীর্ঘ দিন থেকে অভাবগ্রস্থ হওয়ায় ইতি পুর্বেও আমরা এই সমিতি থেকে দুইবার ঋন নিয়েছি। সে ঋন প্রায় শোধ হওয়ার পথে। তাই এবারও ঋনের আসায় আমার স্বামীর নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি সমিতির সেক্রেটারী মমিন পাটওয়ারীর কাছে যাই। সে আমাকে জানায়, ঋন পাইতে হলে আব্দুল হাসেম গাজীর কাছে যেতে হবে এবং আমাদের কিছু আবদার রাখতে হবে। আমি এ কথা শুনে বাড়িতে চলে আসি। পরে ঐদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মমিন পাটওয়ারী ও আব্দুল হাসেম গাজী আমার বাড়িতে আসে। ঋনের বিষয়ে তারা বলেন আমাদেরকে খুশি করতে পারলে কালকের মধ্যেই ঋণ দেওয়া হবে। এই বলে তারা দুজনেই আমার কাছে আসার চেষ্টা করে এবং আজে-বাজে নোংরা কথা বলতে থাকে। তাদের হাত থেকে আমি বাঁচতে দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে পাশের ঘরে চলে যাই।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হাসেম গাজী জানায়, আমি থ্রী স্টার সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের মালিক না। আমি এটির একজন গ্রহক। এই সমিতিতে আমার মাসিক ২শ’ টাকার সঞ্চয় প্রকল্প রয়েছে। খোকন পাঠানের স্ত্রী রাশেদা আমার কাছে ঋণ নেওয়ার জন্য আসার কোন প্রশ্নই উঠে না। ঐ দিন আমি একটি ভিসার ব্যাপারে চট্রগ্রামে ছিলাম। আমার ও আমার পিতার সম্মান ুন্ন করতে রাশেদাকে ব্যাবহার করে একটি চক্র এই ষড়যন্ত্র মূলক প্রভাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
শিরোনাম:
শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।