প্রতিনিধি
বাবার কোলে চড়ে ধর্ষণ মামলার আসামি ৭ বছরের শিশু সজীব জামিন নিতে এসেছিল আদালতে। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক আহসান হাবিব গতকাল তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় শিশু সজীবের বাবা আব্দুল মালেক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৪শে এপ্রিল বিকালে মোস্তফাপুর গ্রামের ২য় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ১৪ বছর বয়সী আবু ইউসুফ। ধর্ষিতাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনার অপরাধে শিশু সজীবকে এই মামলার আসামি করা হয়। এর আগে গত বছরের ২১শে ডিসেম্বর একই মামলায় জামিন নিতে আসে সজীব। সে সময় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পিপি ইসমাইলের ওপর দায়িত্ব দেন বিচারক। কিন্তু আইনি জটিলতায় মামলা থেকে শিশু সজীবের নাম বাদ দেয়া সম্ভব হয়নি। শিশু সজীবের আইনজীবী তবিউর রহমান জানান, বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করে আগামী ধার্য তারিখে তার জন্ম নিবন্ধনের কার্ড দেয়ার কথা বলেছেন। জন্ম নিবন্ধনের কার্ড আদালতে জমা দিলে তার মামলা খারিজ হতে পারে বলে আইনজীবী তবিবুর রহমান জানান। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ইসমাইল হোসেন বলেন, ২২ ধারায় ধর্ষিতা শিশু সজীবের নাম বলেছে। তাই সে আসামি হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখে বিষয়টির সুরাহা হবে হয়তো। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত ও বর্তমান চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইউনুস আলী বলেন, এজাহারে আসামির নাম উল্লেখ করা হলেও ধর্ষিতার ২২ ধারায় দেয়া জবানবন্দি অনুসারে চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিশু সজীব ধর্ষিতাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। এ জন্য সহযোগী হিসেবে সজীব আসামি হয়েছে।