সংবাদদাতা
দশম জাতীয় সংসদের ঘোষিত তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন গতকাল চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডস্থ বাবুরহাটে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ভোর থেকেই নেতা-কর্মীরা পিকেটিং করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল, রিক্সা, অটোবাইকসহ বিভিন্ন যান চলাচলে বাধা দেয়। সকাল থেকেই বাবুরহাট এলাকার মতলব রোডের মাথায় পুলিশ অবস্থান নেয়। সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ ছিলো সতর্কাবস্থায়।
দিনভর পুলিশের কড়া নজরদারি উপেক্ষা করে অবরোধ সফল করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীরা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেয়। পৌর ১৪নং ওয়ার্ড, সদর উপজেলার আশিকাটি, কল্যাণপুর ও মৈশাদী ইউনিয়নের ১৮ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় বাবুরহাট কলেজ রোড থেকে অবরোধের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা কারাগার, কালিভাংতি, পুলিশ লাইন সড়ক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে কলেজ রোডে এসে পুনরায় একত্রিত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহসিন মজুমদার লিটন, সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান, মৈশাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ সাত্তার মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান স্বপন, আশিকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলোয়র হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল পাটওয়ারী, পৌর ১৪নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মনির খান, যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান বেপারী, জাহাঙ্গীর শেখ, কল্যাণপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক পলাশ কাজী, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, নূরে আলম খান, মৈশাদী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদ বেপারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মৃধা, কালু মৃধা, আশিকাটি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জহির তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রিপন, শাহাদাত হোসেন বাবলু। এছাড়া সিনিয়রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য শাহাদাত কাজী, একেএম ফজলুল হক সেলিম, এএইচএম কামরুজ্জামান, এরশাদ মজুমদার, শাহাদাত খান, জেলা যুবদলের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামাল পাটওয়ারী, সাহিত্য প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জাফর প্রধানীয়া, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, আফজাল পাটওয়ারী, যুবদলের সদস্য আলমগীর পাটওয়ারী, ছাত্রদল নেতা রুবেল ঢালী, সাদ্দাম খান, হেলাল মাল, মহসিন খান, জামিল আহমেদ, মামুন প্রমুখ। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইক চলাচল শুরু হয়। বিকেলের দিকে আবারও নেতা-কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বেশ ক�টি সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইক ভাংচুর করে।