প্রতিনিধি
বাবুরহাটে এক স্কুল ছাত্রীকে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে এবং তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৩০ মে শুক্রবার রাতে চাঁদপুর সদরের বাবুরহাট এলাকার আশিকাটি গ্রামের জহিরুল ইসলাম ঝিন্টুর মেয়ে বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী নাহার সুলতানা (১৫) কে হত্যার চেষ্টা করা হয়। হত্যাকারীরা তাকে মারধর করে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে একটি নতুন নির্মাণাধীন বসতঘরের টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। পরদিন গতকাল শনিবার ভোরে তারই জেঠি ফাতেমা বেগম ও অন্যঘরের চাচা দুদু মাল তাকে কাতরাতে শুনে কাছে গিয়ে দেখেন নাহার সুলতানা পড়ে আছে। তাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে অনেকটা অচেতন অবস্থায় ভর্তি করে। গতকাল বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে নাহার সুলতানার সাথে আলাপকালে সে জানায়, রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে একই বাড়ির আশেক আলী মাল, কাদির মাল, আক্কাছ মাল ও শাহাদাত মাল মুখ চেপে ধরে নিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে তার পিতাকে জেল থেকে জামিনে আনার জন্যে। সে স্বাক্ষর না করায় তারা ব্লেড দিয়ে হাতে, গলায় ও পায়ে আঘাত করে। রড দিয়ে পায়ে ও শরীরে আঘাত করে। চুলে ধরে দেয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করে ও গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে বাথরুমের ট্যাংকিতে ফেলে দিলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। উল্লেখিতদের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে।
নাহার সুলতানার আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, আশেক আলী মাল, কাদির মাল, আক্কাছ মাল ও শাহাদাত মালদের সাথে নাহার সুলতানার পিতা জহিরুল ইসলাম ঝিন্টুর সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। ঐ বিরোধকে কেন্দ্র করে তারা এ ঘটনা ঘটায়।