রফিকুল ইসলাম বাবু
চাঁদপুরে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে এক লম্পট। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার টাকায় রফদফা হয়। যদিও শিশুর পরিবার হাতে পেয়েছে ২০ হাজার টাকা। চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের ঢালি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শালিশি বৈঠকের পর থেকে লম্পট হাবিবুর রহমান মাঝি (৫০) আত্মগোপনে চলে যায়। তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। আগে তার পেশা ছিল মাছ ধরা। বর্তমানে বালিয়া এলাকার ঢালিবাড়িরর উত্তর পাশে তার বড় ভাই মজ্ঞুর মাঝির নবনির্মিত বাড়ির কাজের দেখভালো করছেন।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে ওই শিশু কন্যাকে পেয়ারা দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে নবনির্মিত ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে শিশুর মা ও মামানিসহ বেশ কয়েজন লম্পট হাবিবকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত মনু গাজী, হারুণ মোল্লা, শাখাওয়াত পাটওয়ারী, ওমর ফারুকসহ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে শিশুর পরিবারকে সমাধান করার কথা বলেন। পরে বিকেলে শালিশি বৈঠকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করে একটি সমঝোতা পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় পঞ্চায়েত। যদিও সন্ধ্যায় হাতে শিশুর পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা পৌছানো হয়। সন্ধ্যার পর পর খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সোহাগ ঘটনাস্থলে এসে খোঁজ খবর নেয়। কিন্তু অপরাধীকে ধরার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নিয়ে লম্পট হাবিরের শুভাকাঙ্খিদের সাথে কথা বলে ফিরে যান।
শিশুর মা মালেকা বেগম বলেন, আমরা চাপে পড়ে সমঝোতা কাগজে স্বাক্ষর করেছি। ভয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করতে যাইনি। কারণ ঘটনার পরপরই আমাদের উপর চাপ আসা শুরু হয়েছে। ওর বিচার আল্লায় করবো। আমরা আর কী করতে পারবো।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালী উল্লাহ অলি জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমাদের কাছে কোনো অভিযো আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবো।