স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের রানিরহাট বাজারে একই দোকানে দুই দফা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সুমাইয়া টেলিকম সেন্টারের দোকান মালিক বেলায়েত হোসেন প্রতিদিনের ন্যায় সকালে দোকান সার্টার ভাঙ্গা দেখতে পায়। একই ভাবে একই দোকানে গত ৫ জানুয়ারী রাতের আধারে দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ৫৬ টি মোবাইল ফোন, ১টি কম্পিউটার, বিকাশ সহ বিভিন্ন লোডের মোবাইল ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দোকান মালিক বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযুক্ত আক্তার ও সাবেদ সহ কয়েকজনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন সকালে চাঁদপুর মডেল থানার নারী এসআই প্রতিভা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বালিয়ার রানিরহাট বাজার থেকে অভিযুক্ত ২ আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। চুরির মালামাল ১৫ দিনের মধ্যে এনে দেওয়ার মুছলেখা দিয়ে বালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজু ও শালিশী নুরু জিম্মায় থানা থেকে নিয়ে আসে। ১৫ দিন যেতে না যেতে উল্লেখিত আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার গভির রাতে সুমাইয়া টেলিকম সেন্টারে আবারো চুরি করে। এসময় প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতার করে ছেড়ে দেওয়ার কারনে পুনরায় এ চুরির ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেছেন।
এ ঘটনায় মডেল থানার নারী এসআই প্রতিভা জানায়, রানিরহাট বাজারে প্রথমবার চুরির ঘটনার পর তাদেরকে ১৫ দিন সময় দেওয়ার পর পুনরায় চুরি হয়েছে তাই তাদেরকে আবারও গ্রেফতার করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যপারে ক্ষতিগ্রস্থ সুমাইয়া টেলিকম সেন্টারের মালিক বেলায়েত জানায়, হরিনা গ্রামের রানির হাট বাজার দোকানদার আক্তার দীর্ঘ কয়েকমাস পূর্বে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় এলাকার আমাকে সহ বেশ কয়েকজনকে বিনা দোষে জড়িয়ে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশ ঐ হত্যা মামলার প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করার পর আক্তারের মুখোশ উন্মোচিত হওয়ায় তার সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে নিরাপরাধীদের কাছ থেকে সুবিধা নিতে না পেরে তার লোকজনদের সাথে নিয়ে দু দফা চুরির ঘটনা ঘটায়।