চাঁদপুর: পদ্মা-মেঘনা অববাহিকার চাঁদপুরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে শিশু জেলে। যেখানে সরকার শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানে তৎপর, সেখানে চাঁদপুর জেলে পাড়াগুলোতে শিশু জেলের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজে শিশুদের ব্যবহারের বিরুদ্ধে নেই কোনো সরকারি তৎপরতা।
ছোট ছোট শিশুরা হাতে বই, খাতা, কলম না ধরে বাবা-চাচার সঙ্গে ধরছে জালের রশি অথবা নৌকার বৈঠা।
জেলার নদী তীরবর্তী ৪ উপজেলা ও চরাঞ্চলে জেলে পাড়াগুলোতে মাছ ধরার নৌকাগুলোতে শিশু জেলেরা মাছ আহরণের কাজে লিপ্ত।
শহরের পুরাণবাজার নদীপাড়ে গিয়ে শিশু জেলেদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ‘আমাদের লেখাপড়া করতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু লেখাপড়া করলে সংসার চলবে কিভাবে? বাবার একার রোজগারে সংসার চলে না।’
এক শিশু জেলের বাবা আ. কাদিরের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ইচ্ছে করে। নদীতে মাছ নেই, সারাদিন জাল বেয়ে ২শ টাকাও ভাগে পড়ে না। তার উপরে রয়েছে সপ্তাহে ৩টি কিস্তি ১২শ থেকে ১৩শ টাকা। তাই নৌকায় ভাগী না নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসি। অন্তত সারাদিন জাল ফেলে যা মাছ পাই তাতে ভাগীদের ভাগ দিতে হয় না।’
সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রমের সময় জেলেদের ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ কারণে তারা জীবন বাঁচানোর জন্য সন্তানদের নিয়ে নদীতে মাছ ধরছে। এভাবেই দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ শিক্ষার আলো থেকে দূরে থেকে যাচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন দত্তের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সরকারের মূল লক্ষ্য জেলেদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। তবে রাতারাতি জেলেদের শতভাগ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়।
আগামীতে সহযোগিতার পরিমাণ আরো বাড়বে বলে তিনি জানান।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।