স্টাফ রিপোটার ঃ চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ছৈয়াল বাড়ীতে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ সখিনা বেগমকে (২৭) যৌতকের জন্য আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গত ১৫দিনেও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি । এ ঘটনায় জড়িত হত্যাকারী ঘাতক স্বামী বাবুল ছৈয়াল,ননদ শারমিন আক্তার ও শাশুড়ী আয়েশা বেগম প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । পুলিশী তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই । এমন লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনার পরও ঘটনাস্থলে পুলিশের কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যায়নি । এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই প্রদিপ জানান,আসামীদের ধরতে চেষ্টা চলছে । আসামীদের মোবাইল কজলিষ্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে । গৃহবধূ সখিনা বেগম নিহতের বিষয়টি আজ রোববার আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে । চার্জসীটের সময় নারী নির্যাতন মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবেই চার্জসীট দেয়া হবে । ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে সখিনা বেগমের সুরাতহাল প্রস্তুত করেছেন শাহবাগ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম তালুকদার । তিনি সুরাতহাল রিপোর্টে সখিনা বেগমের মৃত্যুর কারণ অগিদগ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন । সেই সাথে রিপোর্টে কেরোসিনের কুপি বাতি দ্বারা সখিনা বেগমের গায়ে আগুন দিয়ে অগ্নিদগ্ধের কথা বলা হয়েছে । এদিকে এ মামলার (মামলা নং ৫৪ ) বাদী সখিনা বেগমের ভাই জয়নাল আবেদীন তপাদার (২৮) হতাশ হয়ে পড়েছে । তিনি জানান,এ ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো এ মামলার কোন ঘাতক গ্রেফতার হয়নি । আদেী এ ঘটনার বিচার পাবে কিনা তা নিয়েও সে সন্দিহান । অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতারের দাবী করছি । তিনি বলেন,মৃত্যুর আগে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে অগিদগ্ধ অবস্থায় আমার বোন সখিনা বেগম কীভাবে তাকে আগুন দেওয়া হয়েছে তার বলে গেছেন । তার বক্তব্য রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে । সে বলেছে তাকে তার ননদ শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে নির্যাতনের মাধ্যমে তার গায়ে আগুন লাগানো হয়েছে । তার স্বামী বাবুল ছৈয়াল ও শাশুড়ী আয়েশা বেগম আগুন লাগানোর সময় সহযোগিতা করেছেন । তিনি আরো বলেন, ঘাতক সখিনার স্বামী ঘাতক বাবুল ছৈয়াল আগেও এক মেয়েকে বিয়ে করেন । সেই তথ্য গোপন করে আমার বোন সখিনা কে বিয়ে করে । বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার বোনকে নির্যাতন করতো তার স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকজন ।
এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২০ মে শুক্রবার চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ছৈয়াল বাড়ীতে । এ ঘটনায় তৎকালীন ২৫ মে সখিনা বেগমের ভাই জয়নাল আবেদীন তপাদার গত নিজে বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় এজহার দাখিল করেন (মামলা নং ৫৪ )। এজহারে সখিনার বেগমের স্বামী বাবুল ছৈয়াল (৩৫ ) ,শাশুড়ী আয়েশা বেগম (৫৫) ও ননদ শারমিন আক্তার (২০) কে আসামী করা হয়েছিল । সখিনা বেগমের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কর্দিপাঁচগাঁও গ্রামে। তার দুটি শিশু পুত্র রয়েছে । একজনের নাম সিয়াম (৩ ) আরেকজনের নাম আবু হানিফ ( ১) । পরবর্তীতে গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটে আগুনে পোড়া সখিনা বেগম (২৭) ৬দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা যায় ।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।