জ্বর-ঠান্ডা, জন্ডিস-যক্ষা এমনকি ক্যান্সারও ভাল হয় বিড়ি খেলে। অভিনব এমন চিকিৎসার উদ্ভাবন করেছেন, বিড়ি বাবা আব্দুল মালেক। একুশে টেলিভিশনে ‘একুশের চোখ’ অনুষ্ঠানে এই ভন্ডামী তুলে ধরা হয়।
জ্বর-ঠান্ডা, জন্ডিস-যক্ষা এমনকি ক্যান্সারও ভাল হয় বিড়ি খেলে। অভিনব এমন চিকিৎসার উদ্ভাবন করেছেন, বিড়ি বাবা আব্দুল মালেক। একুশে টেলিভিশনে ‘একুশের চোখ’ অনুষ্ঠানে এই ভন্ডামী তুলে ধরা হয়।
কুমিল্লার বড়-রা থানার খোসবাস গ্রামে গেলেই পাওয়া যাবে আধ্যাতিক এই বাবার দেখা। রোগ বালাই, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক সমস্যারও নাকি সমাধান মিলে তার এই একই ওষুধে।
ভন্ডবাবা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করেন। অথচ নিজের নাতি প্রতিবন্ধি তার কোনো চিকিৎসা করতে পারেন না। তিনিও নিজের চিকিৎসার জন্য বড় বড় ডাক্তারের কাছে যান। এলাকায় আরো গুজব উঠেছে বাবা ৪০ বছর ধরে পানি পান করেন না।
বাবা ভক্তদের চিকিৎসার জন্য বিড়ি ও পানি পান করান। অথচ তিনি বিড়ি খাওয়ার অভিনয় করেন।
তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও এলাকায় কাল্পনীক কাহিনী রয়েছে। এ বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি সে প্রসঙ্গে কথা বলেন না।
গ্রামের সহজ-সরল মানুষের বিশ্বাসকে পূজি করে দির্ঘদিন ধরে ভন্ড বাবা এমন অভন্ড কার্যকালাপ চালিয়ে গেলেও অন্ধ ভক্তদের যেন কিছুতেই চোখ খুৃলছেনা। যারা বিড়ির ধোয়া সহ্য করতে না পারবেন, তাদেরকে আবার বিড়ির পানি খাইয়ে দেয়া হয়। তবে, বাবা এসবের কোন সদ্বোত্তর না দিয়ে আমাদের সাথেও ভন্ডামি করবার চেষ্টা করেছেন।
তবে, বড়-রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কথা বলতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। অনেকটা মাতালের মত এসপি-ডিসিকেও গালগাল করতে থাকেন তিনি। এলাকাবাসীর মতে, থানায় প্রতি মাসে দেয়া মাশোহারা বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কাতেই ওসি বাবার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। বিড়ি বাবার ভন্ডামী বন্ধ করতে এবং পুলিশ প্রশাসনের সুনাম রক্ষার্থে থানার ওসির এমন আচরনেরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা।