স্টাফ রির্পোটার :
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পরিবারের লোক জন দিয়ে দির্ঘদীন আটক রেখে নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে যৌতুক লোভী ঐ পরিবারের লোক জন। ঘটনাটি ঘটে লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউয়িনে বাটবাড়িয়া গ্রামে। যৌতুক দিতে অনিহা প্রকাশ করলে পরিবারের লোক জন ও তার স্বামী সহ নির্মম নির্যাতন শুরু করে সারমিনের ওপর। তখন সারমিনের পরিবার খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন এই জাকির হোসেন এমরান পূর্বে ৪টি বিয়ে করেছে। ১ম স্ত্রী লাকসাম কালিয়াপাড়ার শাহনাজ তার ঘরে ১টি সন্তান রয়েছে নাম শুভ। ২য় স্ত্রী নাতুব পেটুয়া এলাকার ঝর্না আক্তার, ৩য় স্ত্রী শর্শী আক্তার তার ঘরে ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে মাহি আক্তার ৫ বছর। ৪র্থ স্ত্রী বিলকিস আক্তার। প্রথম স্ত্রী শাহনাজকে বিয়ে করার পরে তার পরিবার থেকে বার বার মোটা অংকের টাকা নেয়। পরে টাকা না দিতে পাড়ায় শাহনাজকে রেখে ২য় বিয়ে করে বিয়ে পাগল জাকির হোসেন এমরান। ২য় স্ত্রী নাতুব পেটুয়া এলাকার ঝর্না আক্তারকে বিয়ে করে ঝর্নার বাবার টাকা পয়সার লোভে তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে ছেড়ে দেয় সে। পরে ৩য় স্ত্রী শর্শী আক্তারকে মোবাইলের মাধ্যমে সম্পর্ক করে গোপনে বিয়ে করে তার ঘরে একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। ৪র্থ স্ত্রী পাশ্ববর্তী উপজেলার বিলকিস আক্তার জাকির হোসেন এমরানের অপকর্ম এবং মাদক ব্যবসা যেনে ফেলে বিলকিস এই কারনে নির্যাতন করে তাকে ও ছেড়ে দেয় সে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লোহাগড় মিজি বাড়ীর রুহুল আমিনের মেয়ে সারমিন আক্তারের সাথে ২০১১ইং সালে আগষ্টের ৩১ তারিখে বিবাহ হয়। তাদের এক আতœীয় মাধ্যমে।
লাকসাম উপজেলার আব্দুল হকের ছেলে প্রবাসি বিবাহ পাগল জাকির হোসেন এমরানের সাথে। বিয়ের পর থেকে সারমিনকে লাকসাম নিয়ে যায় এমরানের পরিবারের লোকজন। যৌতুক লোভী ঐ পরিবারের লোক জন মাস ছয়কের মাথায় বেকে বসে মোটা অংকের যৌতুকের জন্য পূর্বে স্ত্রীদের ন্যায় সারমিনের উপর নির্যাতন শুরু করে। ২বছরের মাথায় সারমিনের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ঐ যৌতুক লোভী পরিবার। এরই মাঝে সারমিনের ঘরে একটি কন্যা সন্তান আছে শামীমা আক্তার (২)। পরবর্তীতে এমরান লাকসাম বাজারের পাশে ৮তল ভবনের জন্য শশুর বাড়ী থেকে পূনরায় মোটা অংকের টাকা দাবী করে। এর মাঝে সারমিনের বাবা ১নং বালিথুবা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, বাবলু পাটওয়ারী কাছে প্রথমে মৌখিক ভাবে পরে সারমিনের বাবা লিখিত ভাবে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন পরে জাকির হোসেনের পিতা আব্দুল হক ফরিদগঞ্জ আসলে চেয়ারম্যান তাকে ডেকে মেয়ের উপর নির্যাতনের কথা বললে আব্দুল হক নির্যাতনের কথা স্বীকার করে মুসলেখা দিয়ে যায় যে, কখনও আর এধরনের কর্মকান্ড হবে না। বলে ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে যায়। লাকসাম নিয়ে পুনরায় নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন সয্যো করতে না পেরে সারমিন আক্তার গত কয়েকদিন পূর্বে ফরিদগঞ্জ তার বাবার বাড়ীতে চলে আসে। মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাকে প্রথমে বেসরকারী হাসপাতালে পরে সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঐ যৌতুক লোভী পরিবার উল্টো নিজেদেরকে বাচানোর জন্যে অনলাইনে এবং কিছু সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যেমে সারমিন ও তার বোনের ১২বছরের ছোট ছেলের সাথে কিছু অসামাজিক ছবি দ্বারা কিছু অস্লিল কথা লিখে। এই ব্যপারে সারমিনের পরিবারের লোকজন জানায় নির্যাতন করেও তারা ক্ষান্ত হয় নাই। বরং আমাদের পরিবারের সম্মান হানি করেছে। আমার সামাজিক ভাবে এই যৌতুক লোভী পরিবারের ও জাকির হোসেন এমরানের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।