হাসানুজ্জামান:
সখ ও সাধ্য দু’ই- ছোঁয়ার বাইরে চলে গেলো কিশোরী নয়নের। যার ফলে বিয়ের পিঁড়িতে আর বসা হলো না তার। সে এখন মৃত্যুর তক্তে শায়িত। গত ২৩ ডিসেম্বর রোববার সকালে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা গ্রামে এই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যায়, ওই গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির আঃ মান্নানের পুত্র রুবেল প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইজ্জত নষ্ট করে ১৭ বছরের অসহায় কিশোরী নয়নের। রুবেলের সখের লীলা সাঙ্গ হবার পর নয়নের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায় তার। কিন্তু নয়নের প্রয়োজনীয়তা জানালে বাঁধে বিরোধ সম্পর্ক। নয়নকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করার কারণে নিজ গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহুতির চেষ্টা করে সে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। দারিদ্রতার রোষানলে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা ব্যহত। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে নয়নকে সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠায়। শাহরাস্তি মডেল থানায় এ বিষয়ে নয়নের মা বাদী হয়ে রুবেল পিতা- আঃ মান্নান, কুলসুম স্বামী- সালামত উল্যাহ, আবুল খায়ের পিতা- মৃত আঃ খালেক ও আঃ মান্নান পিতা- মৃত আঃ খালেক এদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে থানা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গেলে তারা প্রত্যেকে আত্মগোপন করে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানান, নয়নের সাথে প্রতারণা করার কারণে সে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। যদি নয়ন মারা যায় তাহলে সারা দেশের নারী নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আত্মহত্যায় উদ্ভুদ্ধ কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ার করেন। পক্ষান্তরে বিশ্বস্থ এক সূত্রে জানা যায়, পলাতক প্রতারকদের রক্ষা করতে কিছু সংখ্যক লোক উঠে পড়ে লেগেছে। নয়নের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ২১০ নং ওয়ার্ডের ৫নং সিটে জীবনের শেষ সময়টুকু অতিক্রান্ত করছে। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, বর্তমানে রোগী ৮৫ ভাগ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।