দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতের পরিমাণ কমে ৩৭ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের পর এই অঙ্কে নেমে এসেছে রিজার্ভ। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা।
আকুর দায় হিসেবে জুলাই-আগস্টের আমদানির জন্য ১৭৪ কোটি ডলার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। একই দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আরো ৫ কোটি ডলারের কিছু বেশি বিক্রি করেছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ কমে ৩৭ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার বা ৩৭০৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। আমদানির অর্থ পরিশোধের কারণে চলতি বছরের মে থেকে রিজার্ভ কমতে শুরু করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার ফলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়া এবং কাঙ্ক্ষিত রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখতে না পারায় দেশের রিজার্ভে চাপ শুরু হয়। অবশ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় দায় পরিশোধের পরিমাণ কমেছে। গত দুই মাসে আমদানির পরিমাণ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এর ফলে দায় পরিশোধের চাপও কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দুই মাস পরপর আকুর সদস্যভুক্ত ৯টি দেশের (ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ) আমদানি বিল পরিশোধ করে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করায় সাধারণত মধ্যরাতের পরেই বিলের অর্থ কেটে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন সেটা রিজার্ভের হিসাব থেকে বাদ দেয়। ফলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ঐ পরিমাণ অর্থ বাদ দেওয়া হয়।