লামানা (বিশেষ অনুমতি) বা ভিসা জটিলতার কারণে কুয়েতে শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারির পর দেশটিতে শ্রমিকের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু লামানা বা ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক যাচ্ছেন না সহজে। ফলে ভারতসহ অনেক দেশ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কুয়েতে শ্রমবাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে।
এই লামানা বা বিশেষ অনুমতি বাতিল করতে কুয়েত সরকারকে বাংলাদেশের অনুরোধ জানানোর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী ও কমিউনিটি নেতারা। তারা বলেন, উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে কুয়েত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লামানা বা বিশেষ অনুমতি বাতিলের এই অনুরোধ করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই বাংলাদেশ থেকে মোবাইল টেকনেশিয়ান, টেইলারিংয়ের কাটিং মাস্টার, কারপেন্টার, ওয়েল্ডার, ইলেকট্রেশিয়ান, ড্রাইভার, পেইন্টার, গাড়ির মেকানিক, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ভালো বেতনে কুয়েতে দক্ষ জনশক্তি নিতে পারবে।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কুয়েত শ্রমবাজার বন্ধ থাকার পর ২০১৪ সাল থেকে গৃহকর্মী, ক্লিনিং ও সিকিউরিটিসহ নিদির্ষ্ট কিছু সেক্টরে শ্রমিক আনার অনুমতি দেয় দেশটি। বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিক আসতে প্রয়োজন হয় লামানা বা বিশেষ অনুমতির। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে যার বেশি সংখ্যকই শ্রমিক।