ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল ঘেরাও করে রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, চিকিৎসকের ভুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাঁরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের সনদ বাতিল ও এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।
ভুল চিকিত্সার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আমজাদ হোসেন। তাঁর দাবি, রোগী ঠিকমতো যোগাযোগ না করায় একটা সমস্যা হয়েছে।
মোস্তাফিজুরের সহপাঠীরা জানান, পায়ে টিউমার ধরা পড়লে তাঁকে ২০১০ সালে চিকিৎসার জন্য ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক আমজাদ হোসেনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁরই তত্ত্বাবধানে মোস্তাফিজের পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর আর কোনো সমস্যা নেই বলে জানান আমজাদ। কিন্তু ধীরে ধীরে মোস্তাফিজুরের পায়ের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর আবার তাঁকে আমজাদ হোসেনের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে সমস্যা নেই বলে তিনি কিছু ওষুধ লিখে দেন। তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলে অন্য চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য চিকিৎসকেরা জানান, মোস্তাফিজুরের সারকোমা ক্যানসার হয়েছে। পরে সহপাঠীদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোস্তাফিজুরের সারা শরীরে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমেই শনাক্ত করা সম্ভব হলে তাঁর চিকিৎসা করা সম্ভব হতো।
সহপাঠীদের দাবি, ল্যাবএইডের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণেই মোস্তাফিজুর এখন মরণাপন্ন। তাই ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সনদ বাতিল এবং এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
দাবি আদায়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সামনে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল পর্যন্ত চলে কর্মসূচি। এরপর বিভাগীয় চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন মোল্ল্যা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিলে তাঁরা অনশন তুলে নেন।
এ বিষয়ে ল্যাবএইডের মিডিয়া শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কিছু বলেনি। তবে ল্যাবএইডের পরিচালক মাহবুবুল ইসলাম বলেছেন, রোগী চাইলে তাঁরা তাঁর সার্বিক চিকিৎসা এখনো চালাতে চান।