মতলব প্রতিনিধি
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের খর্গপুর গ্রামের হাতুড়ে চিকিৎসক মোঃ হোসেনের ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রসূতি মা মুন্নী (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ মে সন্ধ্যায় খর্গপুর গ্রামের হাজী বাড়িতে।
জানা যায়, ঐ গ্রামের হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী মুন্নি (১৯)�র প্রসব ব্যথা উঠানোর জন্যে এলাকার পল্লী চিকিৎসক মোঃ হোসেন লিন্ডা-এস (টিম) ডিএস ইনজেকশান পুশ করে মুন্নীকে। শুধু একটি ইনজেশনই পুশ করেনি পাষণ্ড হাতুড়ে চিকিৎসক হোসেন, একের পর এক করে ৫টি ইনজেকশন পুশ করার পর পরই মুন্নী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার স্বামী হুমায়ুন কবির, মাতা মনি বেগম, পিতা কামাল হোসেনসহ স্বজনরা তাকে দ্রুত সিএনজি স্কুটারযোগে মতলব সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির কিছুক্ষণ পর নবজাতক শিশুটি মৃত অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়। ভূমিষ্ট হওয়ার পর প্রসূতি মা মুন্নীর ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। পরে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ সাবিনা ইয়াছমিন মুন্নিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মুন্নীর স্বামী হুমায়ুন কবির জানান, হাতুড়ে চিকিৎসক মোঃ হোসেনের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মোঃ হোসেনের ঔষধের ফার্মেসীটি মতলব আশ্বিনপুর সড়কের খর্গপুর নামক স্থানে অবস্থিত। নেই দোকানটির ট্রেড লাইসেন্স, নেই দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স, নেই তার পল্লী চিকিৎসকের কোনো সার্টিফিকেট।
স্থানীয় লোকজন জানায়, তার এহেন ভুল চিকিৎসার কারণে গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষ চিকিৎসা নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথিত ওই পল্লী চিকিৎসক মোঃ হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমাকে মোবাইলে খবর দিয়েছে ইনজেকশান পুশ করার জন্য। আমি ইনজেকশন পুশ করেছি। এই ইনজেকশনটি একজন গর্ভবতী মায়ের কোন্ সময় পুশ করতে হয় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমি অবগত নই।