স্টাফ রিপোর্টার
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পল্লীমঙ্গল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৬ মে সোমবার রাতে আবারো ভুয়া (?) এমবিবিএস ডাক্তার ওমর ফারুকের হাতে অপারেশনের সময় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিশুর পিতা মোঃ জাকির হোসেন জানান, আমার গর্ভবতী স্ত্রী সামছুন নাহার (২৮)কে ওই পল্লীমঙ্গল হাসপাতালের নার্স নামধারী শেফালির প্ররোচনায় ঐ দিন রাতে ঐ হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখানকার ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আল্ট্রাসনোগ্রাম করাই। আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরে ডাক্তার পরামর্শ দেয় রোগীকে সিজার করতে হবে। পরে রাত ৮টার দিকে ডাঃ ওমর ফারুক ও ডাঃ কিশোর কুমার আমার স্ত্রীর সিজার করায়। অপারেশনের কিছুক্ষণ পর ডাঃ কিশোর কুমার এসে বলে রোগীর অবস্থা ভালো নয় এক্ষুণি তাকে চাঁদপুর জেলা সদরে নিয়ে যেতে হবে। আমরা চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার সন্তান মারা যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভুয়া (?) এমবিবিএস ডাক্তার ওমর ফারুক বলেন, বাচ্চার অবস্থা খারাপ দেখেই অপারেশন করাতে বলি। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল রাতে এ হাসপাতালে বাজারের আল মদিনা ডেকোরেশনের কর্মচারী আলমের স্ত্রী মুক্তি (২৬) নামে এক গৃহবধূ গলায় টনসিল চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। সে সময় ওমর ফারুক নিজেই রোগীকে অ্যানেসথেসিয়া করার জন্য ইনজেকশান পুশ্ করেন। এতে সাথে সাথে রোগীর শরীর ফুলে গেলে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর স্বজনদের চাপের মুখে ঢাকা পাঠানো হলে পথেই রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে দু লাখ টাকার বিনিময়ে মৃত্যুর দায় এড়ানোর রফাদফা হয় ।
এছাড়া উক্ত ঘটনা নিয়ে এ হাসপাতালের কার্যক্রমের উপর মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা উক্ত কমপ্লেক্সের দুজন ডাক্তার দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির সদস্যরা হলেন : কন্সালটেন্ট ডাঃ নাজমুল হক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান।