ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৩টি ঔষধের দোকানে অর্থদন্ড করার প্রতিবাদে চাঁদপুর ঔষধ ব্যবসায়ীরা ২ ঘন্টা ধর্মঘট পালন করে।
গতকাল ৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন মেডিসিনের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করার প্রতিবাদে মেডিসিন ব্যবসায়ীরা দিনব্যাপী ধর্মঘট পালন করেন। চাঁদপুর জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিষ্ট সমবায় সমিতির ডাকে এ ধর্মঘট পালন করেন ঔষধ ব্যবসায়ীরা। চাঁদপুরে যে সব ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়, সেগুলো হল চাঁদপুর মেডিকেল সেন্টারে ১০ হাজার, জনতা ফার্মেসীতে ১০ হাজার, গাজী ফার্মেসীতে ৫ হাজার টাকা ও চাঁদপুর মেডিকেল সেন্টার থেকে ১লাখ টাকার ঔষধ নিয়ে যাওয়ার কারণে ঔষধ ব্যবসায়ীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। চাঁদপুরের বিভিন্ন ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সৈকত ইসলাম, এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ।
চাঁদপুর জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিষ্ট সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রুহুল আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন ডাক্তার যে ঔষধ লিখে আমরা সে ঔষধ বিক্রি করি, কোনটি অবৈধ আর কোনটি বৈধ তা তো আর আমরা জানিনা। তারা আমাদেরকে লিস্ট দিয়ে দিলে সে লিস্ট অনুযায়ী আমরা ঔষধ বিক্রি করবো। আমাদেরতো আর লিস্ট অনুযায়ী ঔষধ বিক্রি করতে কোন সমস্যা নেই, অযথা আমরা ও হয়রানি শিকার হবো না। এ সমস্ত ঔষধ যেখানে উৎপাদন করা হয়, সেসব কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিলেই তো আর এসব ঔষধ মার্কেটে আসবে না। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন ফুড সাফ্রিমেন্ট নামে যে ঔষধ মার্কেটে আসে তা ড্রাগ সুপারভাইজারের সাথে যোগাযোগ করেই তারা মার্কেটে ছাড়ে, এ ঔষধ মার্কেটে আসলে ডাক্তার আর ড্রাগ সুপারভাইজার লাভবান হয় বলে তারা জানান, প্রতি কোটায় ডাক্তার ও সুপারভাইজার ১শ’ টাকা করে পায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিষ্ট সমবায় সমিতির সভাপতি আহসানুজামান মন্টু, সদস্য নিহাল হোসেন, নারায়ণ চন্দ্র কর্মকার, সুভাস চন্দ্র সাহা, নজরুল আমীন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে ড্রাগ সুপারভাইজার আঃ রশিদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ডিসি অফিসের নির্দেশক্রমে এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা প্রতিটি ঔষধের দোকানে বলে দিয়েছি যে সকল ঔষধে (ডি এ আর) নাম্বার না থাকবে সেসব ঔষধ না রাখার জন্য, তারপরও যদি তারা রাখে, তার জবাব আমার কাছে নেই। গতকাল যে সব দোকানে জরিমানা করা হয়েছে সেসব দোকানে আনরেজিস্ট্রি ঔষধ রাখার কারণেই মূলত জরিমানা হয় বলে এই কর্মকর্তা জানান। এদিকে ঔষধ ব্যবসায়ীদের দিনভর ধর্মঘটের কারনে শত শত ক্রেতাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।