নিজস্ব প্রতিনিধি
আজ বুধবার, পাঁচটি মামলার হাজিরা দিতে চাঁদপুর কোর্টে আসেন কচুয়ার কৃতি সন্তান, সাবেক সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র নির্বাহী কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সম্মানিত সভাপতি জনাব আ.ন.ম. এহছানুল হক মিলন।
২০০৯ সালে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজনৈতিক আক্রোশ চরিতার্থ করতে সাবেক সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জনাব আ. ন. ম. এহছানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সম্মানিত সদস্য মিসেস নাজমুন নাহার বেবী এবং তার নির্বাচনী এলাকার অসংখ্য নেতাকর্মীকে জড়িয়ে এ পর্যন্ত ৩৬টি মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে। এছাড়া কচুয়া বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় দু’শতাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। একের পর এক মিথ্যা মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা আজ বসতভিটা ছাড়া, নি:স্ব হয়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় তিনি ২০১০ সালের ১৪ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পর, বিনা বিচারে প্রায় দেড় বছর কারাবাস শেষে ২০১১ সালের ৫ জুন কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মামলার এসসি নং ১০৮/২০১২ (সাবেক জি আর ৩৬/১০)
৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, মটর সাইকেল ও মোবাইল সেট ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগে জনাব আ.ন.ম এহছানুল হক মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল হাছানাতসহ অপর ১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩ বছর আগের ঘটনা উল্লেখ করে বানোয়াট মামলাটি করেন মোঃ আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী, পিতা – মোঃ অলিউল্লা পাটোয়ারী, গ্রাম: শ্রীরামপুর, সভাপতি, আওয়ামী যুবলীগ, ৯নং কড়িয়া ইউনিয়ন শাখা। মামলায় বর্ণিত ঘটনার তারিখ ০৫/০১/২০০৭ইং তারিখে হলেও ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা না করে কেন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৪/০৩/২০১০ইং তারিখে ৬টি মিথ্যা মামলা করে কারাগারে পাঠিয়ে ওই মিথ্যা মামলা রুজু করে ২৬/০৪/২০১০ইং তারিখে। অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিগত হাজিরায় মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য শুনানী হয়। আজ আদেশের দিন ধার্য আছে।
মামলার জি আর নং ১০২/২০১১
৭ বছর আগের মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করে জনাব আ.ন.ম. এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে বানোয়াট মামলাটি করে কচুয়া কড়ইশের মোঃ মহিউদ্দিন কাউছার। মামলার ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয় ১৭/০৩/২০০৪ সাল (শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন) আর মামলাটি রুজুু করা হয় ১৫/০৪/২০১১ সালে। কচুয়া কোর্টে এই মামলায় তিনি নিয়মিত হাজিরা দেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কচুয়া উপজেলার সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল গত ১৮/১০/২০১৩ইং তারিখে নির্যাতনের শিকার হয়ে কারা অন্তরীন অবস্থায় মুত্যুবরণ করলে বিএনপি’র আহ্বানে কচুয়ায় হরতাল পালিত হলে পরবর্তী পৃষ্ঠায় বর্ণিত মামলাগুলো হয়।
মামলার জি আর নং ১৯১/২০১৩
কচুয়া উপজেলার শিমুলতলী তেগুরিয়া মোড়ে উপজেলা বিএনপি’র ডাকা হরতালে সংঘর্ষের ঘটনায় জনাব মিলনকে ১নং আসামী করে জ্ঞাত ৭১ জন এবং অজ্ঞাত ৩/৪শ জন ব্যক্তিকে আসামী করে গত ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখে কচুয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬/২ এর ২৫(ঘ) ধারায় ষড়যন্ত্র, নাশকতা, ত্রাস, জনমনে আতংক, সশস্ত্র অবস্থায় দাঙ্গা, অবৈধ সমাবেশ ও মিছিল, সরকারী কাজে বাধা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, টেটা, বল্লম, বর্শা, শাবল ইত্যাদির ব্যবহার উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন এস আই বাতেন। কচুয়া কোর্টে এই মামলায় তিনি নিয়মিত হাজিরা দেন।
মামলার জি আর নং ১৯২/২০১৩
কচুয়া উপজেলার ঘাঘড়া ব্রীজ ও মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় উপজেলা বিএনপি’র ডাকা হরতালে সংঘর্ষের ঘটনায় জনাব মিলনকে ১নং আসামী করে জ্ঞাত ৬৫ জন এবং অজ্ঞাত ৪/৫শ জন ব্যক্তিকে আসামী করে গত ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখে কচুয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬/২ এর ২৫(ঘ) ধারায় ষড়যন্ত্র, নাশকতা, ত্রাস, জনমনে আতংক, সশস্ত্র অবস্থায় দাঙ্গা, অবৈধ সমাবেশ ও মিছিল, সরকারী কাজে বাধা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, টেটা, বল্লম, বর্শা, শাবল ইত্যাদির ব্যবহার উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন এস আই জহিরুল ইসলাম। কচুয়া কোর্টে এই মামলায় তিনি নিয়মিত হাজিরা দেন।
মামলার জি আর নং ১৯৩/২০১৩
কচুয়া উপজেলার জগৎপুর বাজারের রাস্তা উপজেলা বিএনপি’র ডাকা হরতালে সংঘর্ষের ঘটনায় জনাব মিলনকে ১নং আসামী করে জ্ঞাত ৪৪ জন এবং অজ্ঞাত ৫/৬শ জন ব্যক্তিকে আসামী করে গত ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখে কচুয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬/২ এর ২৫(ঘ) ধারায় ষড়যন্ত্র, নাশকতা, ত্রাস, জনমনে আতংক, সশস্ত্র অবস্থায় দাঙ্গা, অবৈধ সমাবেশ ও মিছিল, সরকারী কাজে বাধা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, টেটা, বল্লম, বর্শা, শাবল ইত্যাদির ব্যবহার উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন এস আই মোঃ শাহজাহান। কচুয়া কোর্টে এই মামলায় তিনি নিয়মিত হাজিরা দেন।
উল্লেখ্য, জি আর ১৯১/২০১৩, জি আর ১৯২/২০১৩, জি আর ১৯৩/২০১৩ মামলা তিনটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬/২ এর ২৫(ঘ) ধারায় করা হয়েছে, শুধু ঘটনার স্থান পরিবর্তিত হয়েছে। যেমন জগতপুর থেকে ঘাঘড়ার দূরত্ব ১৩কি:মি: আবার ঘাঘড়া থেকে তেগুরিয়ার দূরত্ব ৩ কি:মি:।