অভিভাবক বিয়ে মেনে না নেওয়ায়
মতলব দক্ষিণে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার: ॥ চাঁদপুর মতলব পৌরসভার মধ্য কলাদী এলাকার আশুরা আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রীর বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রেমের সর্ম্পক গড়ে বিয়ে করার জন্যই। ছেলের পরিবার কর্তৃক বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা শুনেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আশুরা চাঁদপুর সরকারি বিশ^ বিদ্যালয় কলেজের অর্নাস (সমাজকর্ম) বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী। বর্তমানে সে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মা নাজমা বেগম ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, মতলব পৌসভার মধ্যকলাদী এলাকার তৈয়ব আলীর মেয়ে আশুরা দক্ষিণ বাইশপুর নিবাসী ও সিএসবি ব্রিক্স এর সহযোগী ব্যবসায়ী বিল্লাল ফরাজীর ছেলে মাইদুল ফরাজীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছে। সেই প্রেমের সর্ম্পকে স্থায়ী করার জন্য গত ১৪ জুলাই তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে রাতে চাঁদপুর শহরের শেরাটন হোটেলে অবস্থান করে। পরের দিন (১৫ জুলাই) জেলা আদালতের তপু মুরীর সহযোগীতায় মুরাদ উকিলের মাধ্যমে বিয়ে করে।
এদিকে ছেলে ও মেয়ের উভয় পরিবার বহু স্থানে খোঁজা-খুজি করে অবশেষে গত ১৯ জুলাই তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। বাড়িতে আসার পর ছেলের বাবা বিল্লাল ফরাজী নিজে এবং বিভিন্ন লোকদিয়ে আশুরার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। যাতে তাদের কথিত বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং আশুরা যেন ছেলের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখে।
ছেলে-মেয়ের পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে শালিশী বৈঠক হয়। এতে বিয়ের সর্ম্পক ছিন্ন করার সিদ্বান্ত নেয় ছেলের পরিবার। কিন্তু আশূরা তাদের সিদ্বান্ত কিছুতেই মানতে পারেনি। তাই গত ২৩ জুলাই দুপুরে পরিবারের সবার অগোচরে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্ঠা চালায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে আশঙ্কাজকন অবস্থায় প্রথমে মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করে।
আশুরা একটি ডায়েরীতে তার আত্মহত্যার কারণ লিখে যান, যা তার বড় বোন সাংবাদিকদের দেখায়। সেই ডায়েরী থেকে জানা যায়, আশুরা মাইদুলকে সড়ে যেতে বলেছিলো, কিন্তু মাইদুল তাকে ছাড়া বাঁচবে না। বিচারের দিন মাইদুলের নিশ্চুপ ভাবে বসে থাকা আর নিজের মা-বাবাকে অপমানিত হতে দেখে সে হতাশ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ছেলের বাবা বিল্লাল ফরাজী বলেন, আসলে এটি একটি নাটক, তারা আমাদের ফাঁসাতেই এমনটি করছে।