মতলব প্রতিনিধি ॥
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কাশিমপুরে এক হাতুড়ে ডাক্তারের অপ-চিকিৎসায় নব জাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার প্রভাবশালীদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কাশিমপুর গ্রামের পরান গাজী বেপারী বাড়ীর মোস্তফা কামালের মেয়ে রুমীর (২০) গত রবিবার রাতে ৯টায় সময় প্রসব ব্যাথা হলে জোরপুল মদিনা মেডিকেল হলের হাতুড়ে ডাক্তার মো: নাইমুর রহমান খানকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রোগীদের বাড়ীতে এসে তিনি একটি স্যালাইন দেয়। এতে কোন কিছু না হলে ওই ডাক্তার কচুয়া উপজেলার মডার্ন হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে। ভোর রাতেই হাসপাতালে নেওয়া আগে স্যালাইনটি খুলে পুকুরে ফেলে দেয় ওই ডাক্তার। হাসপাতালে যাওয়ার পর সেখানে ডাক্তাররা ইপিসিওটমি অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানোর পর দেখা যায় বাচ্চা মরা।
রুমীর মা রহিমা জানায়, মেয়েকে স্যালাইন ও সুই দেওয়ার পরই তার পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসে। পরে ডাক্তারের কথা মত আমরা ডোস্ এবং খাওয়ার স্যালাইন দেওয়া হয়। ডাক্তারের কথা মত হাসপাতালে নেওয়ার পর সিজার শেষে ডাক্তাররা আমার মেয়ের মরা বাচ্চা হয়েছে বলে জানান। তারা আরো বলে, হাসপাতালে আসতে অনেক দেরী করে ফেলেছেন আপনারা। রোগী নিয়ে আসতে এতো দেরী হলো কেন আপনাদের।
রুমীর স্বামী রুবেল জানান, আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য হাতুড়ে ডাক্তার নাইম দায়ী। ৮/৯ ঘন্টা আমাদের ভুল চিকিৎসা দিয়ে আটকিয়ে না রাখলে আজ হয়তোবা সন্তানের মুখ দেখতে পেতাম। আমি এই হাতুড়ে ডাক্তারের বিচার চাই। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৬ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।