ষ্টাফ রির্পোটার ॥
চাঁদপুর জেলাধীন মতলব দক্ষিন উপজেলায় মাদক পাচার কালে ইয়াবাসহ হাতেনাতে ৩ মাদক ব্যবসায়ী ডিবি পুলিশের হাতে আটক হলেও চাঁদবাজী মামলায় আসামী মাদক ব্যবসায়ী ভ’য়া ডিবি ও সাংবাদিক নামধারী মনির খান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মতলব দক্ষিন থানায় ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক ইসমাইল খন্দকার ৫জনকে আসামী করে মাদক মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪ তারিখ ৭-৮-১৫। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় মতলব দক্ষিন বহরি গ্রামে ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক ইসমাইল খন্দকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চারিয়ে মনির খানের সহযোগী অপরাধ চক্র সাপ্তাহিক পত্রিকায় নামধারী ভুয়া সাংবাদিক মুরাদ হোসেন মুসা (৩২) মহসিন তালুকদার (২৫) ও মুক্তার হোসেন প্রধানিয়া (২৫) কে হাতেনাতে ৩২ পিস ইয়াবা সহ আটক করে। এসময় চাঁদাবাজ মামলা আসামী ও মাদক ব্যবসায়ী মনির খান ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মতলব দক্ষিন থানার বহরি গ্রামে অভিযান চালানো হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে মামলার আসামীরা ইয়াবা
বিক্রির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। ইতিপূর্বে মাদক মামলার পলাতক আসামী ও চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার পশ্চিম জাফরাবাদ সিরাজ খানের বাড়ির মৃত জব্বার খানের ছেলে মনির খান বাবুরহাট জিন্টু সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় চাঁদাবাজী ও শীলতহানির ঘটনায় আটক হয়ে জেল হাজতে যায়। জেল থেকে বের হয়ে সে তার সহযোগী মতলব উত্তর এনায়েত নগরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মুরাদ হোসেন মুসা কে সাথে নিয়ে ইয়াবা বিক্রি এবং বিভিন্ন উপজেলায় পাচার করা শুরু করে। মুরাদ হোসেন মুসা চাঁদপুর আদালতের পিছনে জিডি রোডে ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। অবশেষে ডিবি 
পুলিশের অভিযানে ইয়াবা সহ হাতেনাতে আটক হয়। জানা যায়, মনির খান নিজেকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম সংগঠিত করেছে। সাধারণ মানুষদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও চাঁদপুরের বিভিন্ন জায়গায় কবিরাজদের কাছ থেকে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে। ইতিপূর্বে তাকে শাহারাস্তিতে ফেনসিডিল সহ পুলিশ আটক করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তার এই অপকর্মের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। গত মঙ্গলবার চাঁদপুর শহরের মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের পিছনে এক কবিরাজের কাছে দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই ধরনের ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে ইয়াবা ফেনসিডিল ও পেথিডিন ব্যবহার করে মাদকাসক্ত হয়ে চাঁদাবাজী ছিনতাই ও পতারনা সংঘটিত করেছে। অবশেষে তার সহযোগীদের হাতেনাতে ইয়াবা সহ আটক করেছে। বর্তমানে মনির খান ডিবি পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
